অনুসন্ধান নিউজ :: সোনার নাও পরণের বৈঠা শিরোনামের অসাধারণ একটি গান ওয়াল্ডওয়াইজ রিলিজ হচ্ছে আজ বাংলাদেশ সময় ৬:৩০ মিনিটে। বাংলাদেশের ভাটি বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে এবং সুফীবাদী এই গানটি রেকোডিং এবং শুটিংয়ের সময় যে পরিমাণ সাড়া ফেলেছে, এতে করে প্রমাণিত হয় গানটি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।
“সোনার নাও পরনের বৈঠা”গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বর্তমান সময়ের উদিয়মান ও জনপ্রিয় গায়কঃ এইচ পি সোহাগ
সুর : এফ এ প্রীতম,
গীতিকারঃ শাহ সোহেল,
সঙ্গীতঃ দেবাশীষ দে পল্লব,
অভিনয়েঃ সুমাইয়া ইসলাম ও রবিউল খান,
পরিচালনাঃ সোহেল আহমদ: সিলেটের জনপ্রিয় ভিডিও পরিচালক সোহেল আহমদের পরিচালনায় সিলেটী নাটক,গান মিউজিক ভিডিওতে তিনি জীবনে সফলতার অনেক করেন।
ডি অ পি: আহমেদ জাবেদ,
প্রযোজক: শাহ সোহেল
লেবেল: শাহ সোহেল গীত।
আপনাদের কাছে অবশ্যই গানটি দেখা এবং শুনার অনুরোধ রইলো। এবং গানটি সম্পর্কে কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতকে স্বাগত জানাবেন প্রযোজক এবং পরিচালক।
এই গানটির লেখক শাহ সোহেল এ পর্যন্ত অনেকগুলো উপন্যাস, নাটক, কবিতার বই এবং গানের বই লিখেছেন । ছড়া লিখা ও সাংবাদিকতায় ও তার হাত থেমে নেই। লেখালেখির সবকটি শাখায় তার প্রতিনিয়ত বিতরণ। শাহ সোহেল লিখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন “রকমারি.কম” এ খুঁজলে এই লেখকের অনেকগুলো বই সংগ্রহ করা যাবে। তার এ পর্যন্ত লেখা প্রায় ২০০০ গানের মধ্যে “সোনার নাও পরাণে বৈঠা” ১৪৯৬ তম । এই গুণী লেখকের গানের কথা মান এবং ওজন বিবেচনা করলে নির্ধিদায় এ কথা বলতে পারি যে অদূর ভবিষ্যতে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের মত বাংলাদেশের ইতিহাসে সিলেটের আরেকজন স্বনামধন্য কবি ও গীতিকার এর নাম খোদাই করা রবে।
নিচে তাকে নিয়ে লিখা তার এক বন্ধুর একটি আর্টিকল আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। “একজন বাস্তবের নায়ক শাহ সোহেল, একটা সময় ছিলো শাহ সোহেল ভাইয়ের কাছা কাছি প্রায় প্রতি দিনই যেতাম দেখা হতো গল্প আড্ডায় সময় চলে যেতো তখনও কবিতা লেখাতেন কবি শাহ সোহেল এর কবিতা বই আকারে বের হবার পূর্বের কবিতা গুলি দেখার বা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার । তার বাড়ীর নাম হচ্ছে ফকির বাড়ী, ইলামের গাউ।এই উচ্চতম শাহ বংশীয় মানুষটি এর ফাকে নায়ক হবার দিকে মনোযোগী হলেন শুরু করলেন বেদমছে মডেলিং এবং থিয়েটারে অভিনয়। সিলেটের সন্ধানি নাট্যচক্রের সদস্য হয়ে যাত্রা শুরু করলেন। বেশ সুনামের সাথে কবিতা অভিনয় এবং এম সি কলেজের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নায়ক হয়েও যেতন হয়তো ।তখনতো (১৯৯৫/৯৯)আর এখনকার মতো সোস্যাল মিডিয়া, মোবাইল ছিল না । আর মিডিয়াও অত সহজ বা সস্তা ছিলোনা । তবুও তার পোষ্টার সাইজ ছবি গুলো টাঙ্গানো থাকত কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মামার জল্লার পারের স্টুডিও মডেলসে। জিন্দাবাজার পয়েন্টের কালারল্যাব ফুজি এবং কডাক ফ্লিমের ডেবল্যাপের ল্যাবে। লতিফ সেন্টারের ১/২ তলার ষ্টুডিওতে । বিশ্বনাথের ফটোষ্টুডিওতে, দেখতে শুনতে, হাটা চলা তার
ঠিক যেনো সিনেমার নায়কের মতো । আমার দেখা অনুযায়ী সে হেটে গেলে অনেক ছেলে মেয়েদের নজর পড়তো।
আমরা তিনজন এক সাথে চলাফেরা করতাম । শাহ সোহেল ভাই, নুরুজ্জামান এবং আমি। এমন একসময় এলো পরিবার এবং পারিপার্শ্বিকতার তাগিদে তার জয়াগা আর বাংলাদেশে হলনা পড়ি জমালেন ইংল্যান্ডে।
সেখানকার যান্ত্রিকতার সুখ দুঃখের মাঝেও লিখে চলেছেন অবিরাম। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ইত্যাদি গ্রন্ত প্রকাশ থেকে ৩ খন্ডে “শাহ সোহেল গীত সমগ্র” ১,২ এবং ৩-এ ১৫০০টি গান প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলি যে কোন লাইব্রেরী অথবা অনলাইনে (রকমারি ডট কম) পাওয়া যায়। তার কবিতার বই গানের বই, উপন্যাস সহ অনেক গুলো বই বাজারে রয়েছ।