নিউজ ডেস্ক :: সীমান্ত হত্যা ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্য দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে সীমান্ত হত্যা উভয় দেশের জন্য দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি তাদের ওপর হামলার কোনো শঙ্কা না থাকে, তবে যেন সীমান্তে কোনো অবস্থাতেই গুলি না চালায়। আমরা কোনো দেশেই সীমান্ত হত্যা চাই না। সীমান্ত হত্যা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর রায় সাহেব বাড়ি এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দিরের পাশে ভারত সরকারের অর্থায়নে এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হলের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। চোরাচালানের কারণে সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে। তবে আগামীতে সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে ভারত সরকার সজাগ রয়েছে।
দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমরা যদি পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিই তাহলে যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সীমান্ত হত্যা অনেক কমেছে। সীমান্তে যে কোনো হত্যাকাণ্ড অথবা আহতের ঘটনা উভয় দেশের জন্যই দুঃখজনক। দুই দেশের সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নিরসন করতে হবে।’
দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর-১ আসনের এমপি ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশের রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি, দিনাজপুর রায়সাহেব দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট ও দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হলের সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন।
অনুষ্ঠানের আগে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ফিতা কেটে শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হলের উদ্বোধন করেন। ভারত সরকারের ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কমিউনিটি হল নির্মাণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জেলার কাহারোল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে একই উপজেলায় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের রামকলা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে নবনির্মিত অবকাঠামো উদ্বোধন করেন।