শিরোনাম :
সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে হজ করতে যাত্রা শুরু করল ফয়সল আহমদ সাগর কাউন্সিলর আজাদের বাসভবনে হামলা, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিন্দা কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বাসায় হামলা : দুর্বৃত্তদের খুঁজছে পুলিশ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যাগে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮,৯ ও ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যাগে দোয়া মাহফিল সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোদী দিবস উপলক্ষে বিএমবিএফ এর আলোচনা সভা সিলেটে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ সিলেটে বন্যার পানি নামছে ধীরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিলেট ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

দেশের বিভিন্ন জায়গায়-তাপমাত্রা কমে বাড়ছে কুয়াশা

রিপোর্টার নামঃ
  • মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: ঋতু পরিবর্তনের কারণে এবার হেমন্তেই মিলতে শুরু করেছে শীতের আমেজ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর এবং গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিন থেকে ভোরে ঠান্ডা হাওয়া আর সন্ধ্যার পরে হালকা কুয়াশা জানান দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। বাজারে ওঠা শীতের সবজি যেন হয়ে উঠেছে এর বার্তাবাহক। দূর্বাঘাসে কিংবা ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। মধ্যরাতে পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা, সেই সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠান্ডা শীত। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে শীত, যা এ মাসের শেষে একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। হাড় কাঁপানো না হলেও শীতের আমেজ প্রতিদিনই বাড়ছে একটু একটু করে।

সকালে আর সন্ধ্যায় একটু গরমকাপড় পরে বের হতে হচ্ছে রাস্তায়। আর রাতে কম্বল বা কাঁথা না জড়িয়ে ঘুমানো যাচ্ছে না। শহর কিংবা গ্রামাঞ্চল সবখানেই শীতের আমেজ উপভোগ করছেন মানুষজন। তাই এরই মধ্যে চারদিকে শুরু হয়ে গেছে শীতবুড়িকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি।

গাইবান্ধা : পরিবারের লোকজন বাক্সবন্দি করে রাখা লেপ-তোশক বের করছেন ঠিক করার জন্য। আবার কেউ নতুনভাবে তৈরি করাচ্ছেন। মানুষের শরীরের কাপড়ে পরিবর্তন আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধার ধুনকররাও। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ধুনকররা তৈরি করেছেন লেপ-তোশক। ভিড় বাড়ছে ফুটপাথের পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে। সকাল কিংবা সন্ধ্যায় মোড়ের দোকানগুলোতে চায়ের কাপে উষ্ণতার খোঁজ করছেন শীতকাতুরে মানুষ। পাশাপাশি চিকিৎসকের চেম্বারেও ভিড় বাড়ছে শিশু আর বয়স্কদের। সোমবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্তাঘাট। সড়ক-মহাসড়কে কিছু বাস-ট্রাক চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সাতসকালে অনেকেই শরীরে হালকা গরমকাপড় মুড়িয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। সড়কের পাশে ফুটপাথে পসরা সাজিয়ে বসেছেন পিঠা-পুলির মৌসুমি কারবারিরা। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠরা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। স্টেশন রোড, পিকে বিশ্বাস রোড, স্বাধীনতা প্রাঙ্গণসহ প্রায় সব এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রি বাড়ছে। দোকানিরা বলছেন, শীতের কাপড়ের বেচাকেনা পুরোদমে শুরু না হলেও প্রতিদিন কিছু কিছু বিক্রি হচ্ছে। চলার পথে একটু থেমে নেড়েচেড়ে দেখছেন অনেকেই।

রংপুর : জেলায় কয়েক দিন ধরে দিনের বেলা কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যায় উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের হিম বাতাস বইতে শুরু করে। মধ্যরাতের পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারপাশ। দিন দিন কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা, যা নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আরও কমবে। সোমবার ভোর ৪টা থেকেই হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকালে শীত শীত অনুভূত হওয়ায় অনেকেই গরমকাপড় পরে কাজে বের হচ্ছেন।

রংপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু শিশির। গ্রামগুলোতে দেখা গেছে, পুরনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারীরা। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রঙ-বেরঙের সুতা দিয়ে তারা তৈরি করছেন কাঁথা। আবহাওয়া অফিস এ বিষয়ে বলেছে, এখন সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। সপ্তাহ শেষে নামতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নভেম্বরের শেষের দিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এদিকে শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গেছে শীতের পোশাকের পসরা। খোলা আকাশের নিচে রংপুর শহরের ফুটপাথে কিংবা ছোট ভ্যানে গরমকাপড়ের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। সর্বত্র জমে উঠেছে শীতের পোশাকের বাজার। নানা ধরনের শীতের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

দিনাজপুর : শীতকালে মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা যেন দিনাজপুরের একটি ঐতিহ্য। শীতের মাত্রা বেশি না হলে দিনাজপুর যুগ যুগের ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। শীতকে সামনে রেখে অনেকেই পুরনো শীতবস্ত্র বের করছেন। কেউ-বা আবার নতুন করে লেপ-তোশক তৈরি করছেন। সোয়েটার, চাদর আর পশমী কাপড়ের খোঁজে মানুষ ছোটাছুটি করছেন বিভিন্ন শপিংমল, স্টোর আর পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে। কৃষকরা শীতকালীন ফসল আর শাকসবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। গ্রামে সাধারণ মানুষ শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য কুঁড়েঘরের ছিদ্রগুলো বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে রামসাগর, সুখসাগর, কড়াই বিলে সুদূর সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে ছুটে আসতে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। সোমবার দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, দুই সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পরে সারা রাত দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৭ থেকে ১৮-এর মধ্যে বিরাজ করছে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে এই তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain