নিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার জন্য যা করেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান তা করেছেন কী না প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত আটটায় চট্টগ্রাম ক্লাবে বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও পছন্দ অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কারাগারের বাইরে আছেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আছেন। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন, খালেদা জিয়া যখন দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জন্য এই ব্যবস্থা তারা করেছিলেন কী না? তারা যেটি করেননি, সেটি বঙ্গকন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রথমেই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি আগেও যখন অসুস্থ হয়েছিলেন তখন তারা সমস্বরে বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে তিনি কখনো ভালো হবেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাতে ভালো হয়ে ঘরে ফেরত গিয়েছিলেন। এখনো কামনা করি, তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যান। কিন্তু বিএনপি সেটি চায় কী না এটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বিএনপি চান খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাক। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়। চিকিৎসার নামে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবির পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে বিএনপির।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতি ও নানা কর্মসূচিতে মনে হচ্ছে বিএনপির একমাত্র মাথাব্যথা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। দেশ ও দেশের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নাই। একটি দলের রাজনীতি যখন শুধুমাত্র তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সেই দল কখনো জনগণের দল হতে পারে না।
খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত হবার আগেই কারো দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে এই কারণেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, সেটি বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটিও প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি নাদের খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিসকি। অন্যান্যের মধ্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, রাশিয়ান কনফেডারেশনের অনারারি জেনারেলবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।