শিরোনাম :
সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে হজ করতে যাত্রা শুরু করল ফয়সল আহমদ সাগর কাউন্সিলর আজাদের বাসভবনে হামলা, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিন্দা কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বাসায় হামলা : দুর্বৃত্তদের খুঁজছে পুলিশ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যাগে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮,৯ ও ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যাগে দোয়া মাহফিল সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোদী দিবস উপলক্ষে বিএমবিএফ এর আলোচনা সভা সিলেটে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ সিলেটে বন্যার পানি নামছে ধীরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিলেট ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

নিরুপায় তাকিয়ে মানুষের মৃত্যু দেখেছি, শুনেছি আহাজারি

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: আমার দুই বছরের মেয়ে রাতে খাবার খেতে উঠেছিল, তখন বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনি বাইরে। কেবিন থেকে বারান্দায় গিয়ে দেখি, লঞ্চের পেছনে আগুন। চার-পাঁচ মিনিটের মধ্য পুরো লঞ্চ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন মাথায় কোনো কাজ করছিল না। সে সময় লঞ্চ মাঝনদীতে। ইঞ্জিন চলমান ছিল। আমি তখন মেয়ের বাবাকে বললাম, চলো, নদীতে ঝাঁপ দিই। সে রাজি হলো না। অনেকেই ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটছিল। একটু পরেই দেখি একজন মহিলা পরনের শাড়ি খুলে লঞ্চের রেলিংয়ের সঙ্গে বেঁধে বেয়ে বেয়ে নদীতে নামছিল। আমরাও তখন নামতে সাহস করি। এরপর আমার মেয়েকে ওর বাবার পিঠের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে দিই। ওর বাবা মেয়েকে নিয়ে নদীতে লাফ দেয় এবং আমিও দিই। এ সময় আমার পা ভেঙে যায়।

এই ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার লঞ্চ অভিযান-১০-এর যাত্রী মেহেরিনা কামাল মুনমুন। স্বামী-সন্তানসহ ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি বরগুনায় আসছিলেন তিনি। তাদের বাড়ি বরগুনা শহরের কলেজ রোডে।

তিনি বলেন, আমরা তীরে ওঠার পর দিয়াকূল গ্রামের বাসিন্দারা যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা ভোলার মতো নয়। কাপড়চোপড়, পানি, খাবারসহ যার যা কিছু ছিল সবকিছু নিয়ে লঞ্চযাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুনমুন। বলেন, ‘আমরা আজ নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষের মৃত্যু দেখেছি, আহাজারি শুনেছি। আমাদের জীবনটা কোনোমতে বেঁচে গেছে।’

মাঝনদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন বাঁচানোর কোনো উপায় না পেয়ে অনেকেই ভয়ে-আতঙ্কে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এমনি একজন বরগুনা শহরের ব্যবসায়ী টেইলর ফরিদ আহমেদ। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে দীপ্র আহমেদ (২৫)। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, বাবা পরিস্থিতি দেখে ভয়ে-আতঙ্কে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। কথা বলতে পারছেন না।

ঢাকা থেকে ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন সৌরভ আহমেদ আশিক (২৬)। কোনো উপায় না দেখে সঙ্গে থাকা ল্যাপটপসহ মালামাল রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন তিনি। তিনি বলেন, মানুষ বাঁচার জন্য সবকিছু করতে পারে। তেমনি এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা মোকাবিলা করে বেঁচে ফিরেছি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain