শিরোনাম :
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেট মহানগর ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী-সুধী সমাবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছায়াতলে মানবিক সংকট বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি শ্রমিকদের

ইতালি যাওয়া হলো না গোয়াইনঘাটের ফয়সলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ২১১ বার পড়া হয়েছে

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটের নবগঠিত ১২নং সদর ইউনিয়নের হোয়াউরা গ্রামের ফয়সলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের শোকে বার বার মুর্চা যাচ্ছেন গর্ভধারিনী মা ও পিতা হবি মিয়া। সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ছেলেকে পাঠিয়ে ছিলো দালাল চক্রের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল লিবিয়া হয়ে ইতালি। দেড় মাস আগে লিবিয়া থেকে প্লাস্টিকের নৌকায় করে ইতালির পথে রওয়ানা হয়ে সাগরের মাঝেই দুর্ঘটনায় সলিল সমাধির ধারণা করা হচ্ছে ফয়সলসহ আরোও ২৮ জন অভিবাসীর। ফয়সলের বাড়ি হোয়াউরা গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমায় ফয়সল। সেখান থেকে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী লিভিয়ার দালাল মাধ্যমে সাগর পথে প্লাস্টিকের ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে ৩০ জন অভিবাসী রওয়ানা হন। উত্তাল সাগরে টেউয়ের তোড়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয় তাদের বহনকারী ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি। সূত্রমতে ৯ ঘন্টার পথে ৮ ঘন্টা অতিক্রম করার পর দূর্ঘটনায় পতিত হয় ইঞ্জিন নৌকাটি। ঐ ৩০ জনের মধ্যে ৬ জন সাগর সাতরে পারে উঠতে পারলেও বাকিদের সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পরই ইতালি থেকে ফয়সলের বড় ভাই ফারুক দালালসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে ফেসবুক মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও এদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি ।
জানা যায় ৩০ জন অভিবাসীর মধ্যে সবাই বাংলাদেশী। সাগরে নিখোঁজ ফয়সলের ব্যাপারে জানতে তাদের বাড়ীতে গেলে মা বিলাতুন নেছা ছেলের শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অঝরে কাঁদছিলেন বাবা হবি মিয়া। ছেলের শোকে বার বার তারা মুর্চা যাচ্ছিলেন তারা। তাদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ক্রমশই ভারি হয়ে উঠে। ছেলের ছবি দেখিয়ে মা বিলাতুন নেছার করুণ আর্তনাদে বিলাপ করছিলেন অপরাপর আত্মীয় স্বজনেরা।
বাড়ীর উঠানে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি গরু। যা বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে নিখোঁজ ফয়সলের সন্ধান লাভে শিরণীর জন্য। বিভিন্ন পীর, কবিরাজ, গুণিন ব্যক্তি ও জিন সাদকদেরও সহযোগিতা চাওয়া হয় তার সন্ধানে।
কথা হলে বড় ভাই খলিল মিয়া জানান, আমাদের ৬ ভাই ২ বোন। ফারুক নামের এক ভাই ইতালিতে থাকে। লিবিয়া থেকে সাগর পথে সহজে ৯ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে গিয়েছে সে। সেখানে অভিবাসীরা সহজে নাগরিকত্ব লাভ এবং কর্মসংস্থান পায়। এমন সুযোগ সন্ধানে ইতালি প্রবাসী ভাইয়ের সূত্রে লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে ফয়সলেরও ইতালি যাওয়ার বন্দোবস্ত হয়। কথা মত দালালদের টাকা দিয়ে নৌ-পথে পাড়িও জমায় ফয়সল। কিন্তু উত্তাল সাগরের টেউ আচড়ে পড়ে তাদের ইঞ্জিন নৌকাটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সাগরেই তাদের সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর থেকে অদ্যাবধি ফয়সলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ছেলে ফয়সলের ছবি হাতে নিয়ে তার মা বিলাতুন নেছার কান্না নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান আশপাশের প্রতিবেশীরা।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain