শিরোনাম :
সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে হজ করতে যাত্রা শুরু করল ফয়সল আহমদ সাগর কাউন্সিলর আজাদের বাসভবনে হামলা, সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিন্দা কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বাসায় হামলা : দুর্বৃত্তদের খুঁজছে পুলিশ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যাগে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়-নগরীর ৮,৯ ও ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যাগে দোয়া মাহফিল সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোদী দিবস উপলক্ষে বিএমবিএফ এর আলোচনা সভা সিলেটে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ সিলেটে বন্যার পানি নামছে ধীরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিলেট ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

সিলেট হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড : এখনও জানা যায়নি কারণ, পড়ে আছে ছাইয়ের স্তুপ

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ৪ মে, ২০২২
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: সিলেট নগরীর লালদীঘি (পুরাতন) হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এখনও তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস।

এছাড়া এখনও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। যদিও পুলিশ বলছে- ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন- ক্ষতি হয়েছে অন্ততঃ অর্ধশত কোটি টাকার।

এদিকে, ঘটনার পর তিন দিন হতে চললেও এখনও সেখানে পড়ে রয়েছে পোড়া ছাই ও আবর্জনার স্তুপ। এর থেকে ফের আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব আবর্জনা না সরানোতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

গত সোমবার (২ মে) ভোররাতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগিকাণ্ড ঘটে সিলেটে। রাত ৩টার দিকে নগরীর লালদীঘির হকার্স মার্কেটের ৫ নং গলির কোনো একটি দোকানে প্রথম আগুন লাগে। মুহুর্তে সে আগুন ছড়িয়ে যায় আশপাশ দোকান ও গলিতে। সময় যত যেতে থাকে তত বাড়তে থাকে রাক্ষুসে আগুনের লেলিহান শিখা। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে আসে। একে একে ১৭ টিমের সদস্যরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে মার্কেটের ৫, ৬, ৭ নং গলির বেশিরভাগ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও ১, ৩, ৪ ও ৬ নং গলিরও কয়েকটি দোকান ভস্মিভূত হয়। আগুনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করে ওই দিন বিকেল পর্যন্ত।

অগ্নিকাণ্ডের পর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোট ৭৫টি দোকান পুড়েছে। এতে ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন- অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার দিনই (২ মে) হকার্স মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সর্বস্ব হারানো ব্যবসায়ীদের সান্তনা দেন। এসময় মন্ত্রী দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করার জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।

পরিদর্শনকালে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। সবটুকু না হলেও যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে দিলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে। এর আগে এখন তাৎক্ষণিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ আগুন লাগার পরে আমাদের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যেভাবে তাদের জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন সেটি অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। জানতে পেরেছি- আগুন নেভানোর সময় ৩ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত হয়ে পড়েন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আবার নব উদ্যমে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এটাই তাদের সেবা, কমিটমেন্ট এবং আদর্শ। এছাড়াও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আগুন লাগার খবর পেয়েই ছুটে এসে যে ভূমিকা রেখেছেন সেটি প্রশসংনীয়।’

এসময় পাশে থাকা সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরুপণ করার নির্দেশ প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি প্রবেশের সুবিধার্থে হকার্স মার্কেটের গলিগুলো বড় করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন সিলেট-এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার (সদর) মো. বেলাল হোসেন ঈদের দিন রাতে সিলেটভিউ-কে বলেন, এখনও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে এখনও জানা যায়নি। সে বিষয়েও কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার পর দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ছাইয়ের স্তুপ সেখানে পড়ে রয়েছে। আমরা বার বার সিলেট সিটি করপোরেশনকে বলেছি যে- এসব ছাই পড়ে থাকলে সেখান থেকে আবারও হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। কিন্তু আমাদের কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সিসিক।

এ বিষয়ে সিসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান মঙ্গলবার রাতে সিলেটভিউ-কে বলেন, ঈদের কারণে জনবল সংকট। তাই ছাই বা আবর্জনা সরাতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে কাল (আজ বুধবার) এসব সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain