অনুসন্ধান নিউজ :: বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট বিভাগের উদোগে মানবাধিকার বিষয়ক মতবিনিময় সভা ও সংবর্ধনা গত ১৪ জুন মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সৈয়দ আকরাম আল সাহানের সভাপতিত্বে এবং সংস্থার জেলা সিনিয়র সদস্য মানবাধিকার কর্মী কবি নাজমুল আনসারী ও মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক গোলাম রসুল খাঁন রাজুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ সামছুল হক। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী সদস্য আহমেদ কামরুল হাদী।
আইন ও সুরক্ষা ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতির মাওলানা শামসীর হারুন-উর-রশীদ এর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সুচিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় মানবাধিকার ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, ১নং মোল্লাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সালিশ ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব শেখ মকন মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ সামছুল হক অ্যাডভোকেট বলেন, মানবাধিকারের কাজ করা একটি এবাদত যদি সেবার মানষিকতা নিয়ে কাজ করা যায় তাহলে কাজের বিনিময়ে নেকি অর্জন করা যায়। মানুষ তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। দেশে নতুন নতুন আইন হচ্ছে কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় মানবাধিকার হরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় মানবাধিকার লংঘনের কারণে গরিব মানুষ দিন দিন গরীব হচ্ছে ও ধনী মানুষ ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবাধিকার লংঘন নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধান অতিথি বলেন- ধর্ম পালন করা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার এবং নিজ নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্যের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখা উচিত। অন্য ধর্ম কিংবা ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে কটাক্ষ করা মানবাধিকারের চুড়ান্ত সীমা লংঘন। কারণ এতে শুধুমাত্র একজন ব্যাক্তির মানবাধিকার লংঘন হয়না বরং একটি জাতির মানবাধিকারে আঘাত করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদুজ্জামান চৌধুরী অ্যাডভোকেট বলেন- নতুন আইন সংযোজনের মাধ্যমে মানবাধিকারকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে। সংবর্ধিত অতিথি আহমেদ কামরুল হাদী বলেন- আমরা প্রবাসীরা আমাদের মাতৃভূমিকে অনেক ভালোবাসি এবং দেশের জন্য কিছু করতে সবসময় মনে দাগ কাটে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও দেশকে অনেক ভালোবাসে এবং দেশের জন্য কিছু করতে চায় তবে তারা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বীগ্ন। তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমাকে দেয়া এই সম্মান তখনই স্বার্থক হবে যখন আমি দেশের জন্য কিছু করতে পারব।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আকরাম আল সাহান উক্ত সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মানবাধিকার কার্যক্রমকে নির্ভয়ে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আরো বক্তব্য রাখেন, সংস্থার লিগ্যাল এইড সেল সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট কলম যোদ্ধা ও মানবাধিকার কর্মী লিয়াকত আলী খাঁন, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বিভাগীয় সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, বাংলাদেশ ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটির বিভাগীয় সভাপতি সাংবাদিক শেখ মোঃ লুৎফুর রহমান ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মৌলানা মাছুমুর রহমান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন বিভাগীয় সভাপতি মানবাধিকার কর্মী রকিব আল মাহমুদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সিলেট জেলা সিনিয়র সদস্য মানবাধিকার কর্মী মোছাঃ নাছিমা রহমান পলি, সংস্থার জেলা সিনিয়র সদস্য সাংবাদিক এনাম রহমান, কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু, গোলাপগঞ্জ পৌর শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, উসমানীনগর শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার শরিফুল আলম, সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ এর আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তোফায়েল আহমদ, অ্যাডভোকেট আফজালুর রহমান, বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন মানবাধিকার সংস্থা (বাসক) সোহেল আহমদ, সমাজ সেবক ইমরান আহমদ, সংস্থার কর্মী কয়েছ আহমেদ সাগর, জামরুল ইসলাম, নিয়াজ কুদ্দুস খাঁন, স্বাধীন আহমদ, সুৃমন চন্দ্র নাথ, জয়নুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক এনামুর রহমান, অ্যাডভোকেট জিল্লুর তাপাদার, সাদেক মিয়া, সাংবাদিক মোহন আহমদ, সিতাব, সোহেল আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ, রিপন, আবিদ, কামিল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি