অনুসন্ধান নিউজ :: বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ১১ দিন সুনামগঞ্জের দুই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের। সে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
অপরজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, সে মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলো, মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে মারধর করেন। এতে মায়ের সাথে অভিমান করে বান্ধবীর সাথে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যায়।
অপরদিকে কলেজ ছাত্রী পুলিশকে জানান, তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে সে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবীর সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সে জানায় সে এখন বিয়ে করতে চায় না, লেখাপড়া করতে চায়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় পৃথক দুটি জিডি ও করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ১১ দিন পরে ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করে পুলিশ তাদের সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য ২১ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এঘটনার পর থেকে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত মনিরুজজামান ও বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকার নারায়ণগঞ্জ গিয়ে উদ্ধার করেন।
পরিবারের অভিভাবকদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।