অনুসন্ধান নিউজ :: ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্য, মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
জানা যায়, কর্মবিরতি ডেকে পিকেটিংয়ে পরিবহন শ্রমিকরা, যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে প্রায় অচল হয়ে পরেছে সিলেট। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।
সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন মোড়ে ও নগরের প্রবেশ পথে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ব্যক্তিগত গাড়ি, পন্যবাহি গাড়ি এমনকি বিআরটিসি বাস চলাচলেও বাধা দিচ্ছেন তারা। শ্রমিকদের পিকেটিংয়ের কারনে কোন গাড়িই সড়কে চলাচল করতে পারছে না।
বন্ধ রয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশাও। ফলে চরম দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। দুরপাল্লার যাত্রীদের পাশাপাশি নগরের ভেতরে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ভোর থেকেই কোনো দূরপাল্লার বাস সিলেট ছেড়ে যায়নি বা সিলেটে প্রবেশ করেনি। এমনকি অভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া রাইড শেয়ারিংয়ের বাহনগুলোকেও পরিবহন শ্রমিকরা আটকে দিচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। সেই সুযোগে রাইড শেয়ারিংয়ের বাহনগুলো পকেট কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
পাঁচদফা দাবিতে শ্রমিকরা ধর্মঘট করছেন তা হলো- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও উপ-কমিশনারকে (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করা, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার করা, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয় করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া।
এছাড়া অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিং করা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবি জানানো হলেও আশ্বাসের মধ্যেই তাদের বার বার আটকে রাখছে প্রশাসন। একটি দাবিও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।