ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের অন্যতম পিছিয়ে পড়া এবং একপ্রকার সমাজচ্যুত জনগোষ্ঠী তৃতীয় লিঙ্গ। এই জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। তাদের পরিচয়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত তৃতীয় লিঙ্গ শনাক্ত করে তাদের পরিচয়পত্র দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সময় অনলাইন
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে অনেকেই রাস্তায় থাকছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের অনেকেই তৃতীয় লিঙ্গ নয়। তৃতীয় লিঙ্গ সেজে রাস্তায় থাকছে। কার্ড দেয়া শুরু হলে তাদের পুনর্বাসন করা সহজ হবে। তাই এ ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি মানবাধিকারের বিষয় হওয়ায় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতা নিতে সুপারিশ করা হয়।’
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত তৃতীয় লিঙ্গ শনাক্ত করে আইডি কার্ড প্রদান এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ও মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই গৃহনির্মাণ ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহের ডিজাইন ও বাজেট অনুসরণে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে। সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’-এর মেয়াদ বৃদ্ধি হলে কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য শিবলী সাদিক, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আরমা দত্ত, শবনম জাহান ও কাজী কানিজ সুলতানা। বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বৈঠকে যোগ দেন।