শিরোনাম :
জামায়াতে ইসলামী সিলেট মদিনা মার্কেটে ঐতিহাসিক সিরাত মাহফিল ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিলেটে আলোচিত সুলতান ডাইনকে জরিমানা দূর্গাপুজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বিজিবির মতবিনিময় র‍্যাবের অভিযানে ৩ নারী ১ পুরুষ আটক সিলেটে প্রাইভেটকারে মিললো ১২ লাখ টাকার ভারতীয় ক্রিম বিয়ানীবাজার দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা নতুন প্রজন্মকে মানবিক মুল্যবোধে উজ্জ্বীবিত করতে হবে-প্রাক্তন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে আঞ্চলিক সড়কে ভাঙন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিএনপির সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ডিবি কার্যালয়ে থাকবে না কোনো আয়না ঘর-ভাতের হোটেল : মল্লিক

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা রুখে দাঁড়াতে হবে: সিলেট বাসদ

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান নিউজ :: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা ও লোডশেডিং বন্ধ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর শহিদ মিয়া, ইউসুফ আলী, মামুন বেপারি, চালক সংগ্রাম পরিষদের নুরুল ইসলাম, ইমরান আহমদ প্রমূখ।

 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আবারো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেছে। যে কোন সময় দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে। যদিও ৭টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লাভের মধ্যে রয়েছে, তারপরও তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার এ কাজটি করতে যাচ্ছে। গত ১২ বছরে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ৯০%। বিদ্যুতের দাম বাড়লে এর নেতিবাচক প্রভাব নিত্যপণ্যেসহ সকল ক্ষেত্রে পড়বে। ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের ৫১% দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের বাজার, বাসভাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের ব্যয় বেড়েছে। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তা হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল। বর্তমানে ভয়াবহ লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত। এর জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করা হচ্ছে। আমাদের ৬০ শতাংশের বেশি গ্যাসভিত্তিক। যদিও গ্যাস, কয়লা, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সৌরশক্তি, পানি, বাতাস, জৈববর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি করলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি।সরকারের নীতিই আজকে গ্যাস সংকটের জন্য দায়ী। গত ১০ বছর যাবৎ গ্যাস উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সমূদ্র বিজয়ের ঢাকডোল পিটানো হয়েছে, কিন্তু সমূদ্রের গ্যাস মিয়ানমার উত্তোলন করলেও বাংলাদেশ এখনও সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফরাসি বিশেষজ্ঞ দল এক সমীক্ষায় বলেছিলেন, বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলিতে কিছু সংস্কার ও পরিবর্তন আনলে তিন বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের উত্তোলন বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু এ প্রস্তাবও সরকার গ্রহণ করেনি।

 

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কিছুদিন আগে সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসব করেছে, অথচ আজ বলছে বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে। এদিকে রেন্টাল-কুইকরেন্টালের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকদের দিয়েছে। অনেকে মনে করছে সরকার উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানির যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য গ্যাস দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রচার করছে।

 

বক্তারা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, লোডশেডিং বন্ধ করা ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain