অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫। বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে রেকর্ড ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছর সিলেটে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থী। এবারের ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ২৫৪ জন ছেলে ও ৪ হাজার ৩১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এর মধ্যে সব্বোর্চ সিলেট জেলার ৩ হাজার ৫৯৮ জন। তারপর রয়েছে মৌলভীবাজার। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫৬ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও যথাক্রমে জিপিএ-৫ পেয়েছে হবিগঞ্জ ১ হাজার ৩৪৩ জন ও সুনামগঞ্জে ৯৬৮ জন।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন। এসময় বোর্ডের সচিব কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল প্রকাশকালে অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান- ‘চলতি বছর সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৯০ হাজার ৯৪৮ জন পাস করেছে। বোর্ডের অধীনস্থ ৯৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা ১৫০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেই।’
ফলাফল বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন- ‘সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫। এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ফলে পাসের হার কমেছে ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ।’
বোর্ডের মধ্যে সব্বোর্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে সিলেট এ তথ্য উল্লেখ করে অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন- গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৭৩১ জন। এবার রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৭ হাজার ৫৬৫ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৩ হাজার ২৫৪ জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সব্বোর্চ সিলেট জেলার ৩ হাজার ৫৯৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারপর যথাক্রমে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ অবস্থান করছে। সংখ্যায় যথাক্রমে ১ হাজার ৬৫৬ জন, হবিগঞ্জ ১ হাজার ৩৪৩ জন ও সুনামগঞ্জে ৯৬৮ জন।’
তিনি আরও বলেন- ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে মেয়েরা। সে হিসেবে সিলেট বোর্ডে ৩৮ হাজার ৬৩৫ জন ছেলে ও ৫২ হাজার ৩১৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছেলে ও মেয়েদের পাসের হার যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ ও ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ।’