অনুসন্ধান নিউজ :: ভারতের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আওলাদে রাসুল সায়্যিদ আসজাদ মাদানী বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক। কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তিনি বলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আর্দশকে ধারণ করে আমাদের কে চলতে হবে এবং এই দুনিয়া থেকে ইমান ও আমল নিয়ে যেতে হবে, তাহলে পরকালে শান্তি আসবেই।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে রাত পর্যন্ত সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বিনি বিদ্যাপীঠ জামেয়া নূরিয়া ইসলামিয়া ভার্থখলা মাদ্রাসার ২দিন ব্যাপী বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জামেয়ার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে নসীহত পেশ করেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ ঢাকা, পীরজাদা মীর মাওলানা হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী ঢাকা, শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান বানিয়াচং, মাওলানা বদরুল আলম হামিদী বরুণা, মাওলানা নূরুল হক নবীগঞ্জী, প্রমুখ। সম্মেলনে টাইটেল পাশ মাওলানা ও হাফিজে কোরআনদের পাগড়ি বিতরণ করা হয়। উক্ত স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্মেলনকে সার্বিকভাবে সফল করার জন্য ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামেয়ার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দীন আহমদ বিজ্ঞপ্তি।