শিরোনাম :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি-উচ্ছেদ বন্ধ করুন: সমাজতান্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট আফজল-ফয়সল এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট এর উদ্দ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা বৃত্তি প্রদান আঞ্চলিক ইতিহাসের ছোট-বড়ো বিষয় নিয়েই জাতীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়- প্রফেসর ড. এমরান জাহান সুনামগঞ্জে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন সিলেট চেম্বারের ‌কমিটির পদত্যাগ চান ব্যবসায়ীরা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবীতে সিলেটে বিক্ষোভ সিলেট ওসমানী মেডিকেলের নার্সদের কর্মবিরতি পালন সিলেট নিসচার মাসব্যাপী কর্মসূচীর উদ্ধোধন বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা

শাবি-প্রবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন, তদন্ত করার নির্দেশ

রিপোর্টার নামঃ
  • সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে সংগঠনটির এক কর্মী আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়ার আদালতে এই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। পরে আদালতের বিচারক সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম ফারদিন কবীর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ফিন্যান্স চতুর্থ বর্ষে ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, তাঁর অনুসারী সাজ্জাদ হোসেনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনকে আসামি করেছেন।

ফারদিন কবীরের আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী বলেন, আজ সোমবার আদালতের বিচারকের কাছে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদন করেন ফারদিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জালালাবাদ থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে করা মামলার আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফারদিন কবীরের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ফারদিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে আহত করা হয়। পরে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ফারদিন কবীর বলেন, হামলার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর তিনি সিলেটের জালালাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া না গেলে মামলা নেওয়া সম্ভব নয়। এতে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান বলেন, শাহপরান হলে মারধরের ঘটনাটি বাইরের থেকে উৎপত্তি হয়েছিল। এরপরও ওই ঘটনায় হলের তিনজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তদন্তের পর প্রতিবেদন দেবেন। তবে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে, সেটির কোনো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি জানান।

প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেনে, ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো (সোমবার বিকেল চারটা) থানায় পৌঁছায়নি। নির্দেশনা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain