অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, জনগণের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ের দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপি জনগনের মনের কথা বলে। আর আওয়ামীলীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপিকে গালাগালি করে। তাদের শান্তি সমাবেশ দেখলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী দূসর শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে যায়। ৭১ সালে শান্তি কমিটি শান্তির নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করত। ৭১ সালের শান্তি কমিটি আর এখনকার শান্তি সমাবেশের একই সূত্র গাঁথা। আওয়ামী লীগ আর কিছু দিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্থিত্ব হুমকির মূখে পড়বে।
শনিবার সকালে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত মনববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ১৮ মার্চ শনিবার ১০ দফা দাবীতে সকল মহানগরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তিনি আরো বলেন, দ্রমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষ এখন মুরগি কিনতে পারে না, মুরগির পা, হাড়গুঁড় কিনে নিয়ে যায়। মানুষ খেতে পারছেনা, আর তারা জয় বাংলা কনসার্ট করে। কারন জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। যখন দেশের সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে, আওয়ামীলীগের ভোট চুরি, রিজার্ভ চুরির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে আন্দোলন করছে। আর আওয়ামীলীগ জিয়া পরিবারের প্রতি বিষাদাগার করতে ব্যাস্ত। শেখ হাসিনা শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাদের পতন সুনিশ্চিত।
দক্ষিন সুরমা রেলগেইট সংলগ্ন মারকাজ পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি জননেতা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা তাহসিনা রুশদীর লুনা।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে। দ্রব্যমূল্যে মানুষ অতিষ্ঠ। ১০ দফা শুধু বিএনপির দাবী নয়, এটি এখন সর্বস্তরের জনতার দাবী। অতিত ইতিহাস বলে আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই আওয়ামীলীগের অধিনে এদেশে কোন দিনও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। অভিলম্বে এই অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে একটি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে হবে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ একদিকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না অন্য দিকে বার বার বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। দেশকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে ফ্যাসিবাদী সরকারে বিতাড়িত করে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মামুনুর রশিদ মামুন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, শামীম আহমদ, ইকবাল আহমদ চেয়ারম্যান, একেএম তারেক কালাম, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, আবুল কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, এসটিএম ফখর উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, কোহিনূর আহমদ, লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, আজিজুর রহমান আজিজ, আব্দুল্লাহ মিসবাহ, ইসমাঈল হোসেন সেলিম, মুজিবুর রহমান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, ময়নুল হক, কামরুল হাসান শাহিন, লোকমান আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা। অঙ্গ ও সহযোগী সংঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাকিল মোর্শেদ, সালেহা কবির শেপী, আলতাফ হোসেন সুমন, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহিন আলম জয় প্রমুখ।