অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট জেলার কানাইঘাট থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৪ এপ্রিল২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ০২.৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া বিয়ানীবাজার থানাধীন কসবা এলাকা থেকে গত ২৮ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখের চাঞ্চল্যকর মইন উদ্দিন (২৮) হত্যা মামলার আসামী আয়শা বেগম (৪০),
পিতা- মৃত সিদ্দেক আলী, সাং- বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিংগাড়ীপাড়), থানা-কানাইঘাট, জেলা-সিলেট’কে গ্রেফতার করে।
এজাহার সূত্রে প্রকাশ ভিকটিম মইন উদ্দিন(২৮) এর সাথে আসামী আয়শা বেগম এর মেয়ে তানিয়া বেগম ও আসামী মমতা বেগমদ্বয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ভিকটিম মইন উদ্দিন ও বিবাদীদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত মনোমালিন্যের জের ধরে তানিয়া বেগম এর বড় ভাই মামলার ০১নং আসামী মারজান আহমদ (১৯), পিতা- ইব্রাহিম আলী বেলইসহ এজাহারনামীয় অপরাপর ০৭ জন আসামী পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মইনউদ্দিনকে গত ২৮ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.৪০ ঘটিকা হইতে ২২.১৫ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে কানাইঘাট থানাধীন ০২নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির অন্তর্গত বাউরবাগ ১ম খন্ড সিঙ্গাড়ীপাড়া সাকিনস্থ আসামী মারজান আহমদ এর বসতবাড়িতে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা শফিকুল হক(৭০), গ্রাম- বাউর বাগ ১ম খন্ড (সিংগাড়ীপাড়), থানা- কানাইঘাট, জেলা -সিলেট থানায় ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করলে কানাইঘাট থানার মামলা নং- ২১, তারিখ- ৩০ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার পরপরই আসামীগণ নিজ বাড়ি হইতে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ০৩ (তিন) জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অদ্য গ্রেফতারকৃত আসামী আয়শা বেগম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি থানা পুলিশের নিকট স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইতেছে।