নিউজ ডেস্ক :: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের কালাটিলা এলাকায় নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ সিঁথি মহালীর (১৮) মৃত্যু হয়েছে। নিহত সিঁথি মহালী ওই এলাকার সজীদ মহালীর স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে সিঁথি নিজের শরীরের আগুন দেন বলে জানা গেছে।
এঘটনায় (১১ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতর পিতা বিধু মহালী বাদি হয়ে স্বামী ও শশুরের নামে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিকেল ৫টায় শশুর অভয় মহালী (৪০), স্বামী সজীত মহালী সহ ২জনকে আটক করেন ।
সিঁথির পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ১০ টায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার পরে সিঁথি মহালী রান্না ঘরের স্টোভ চুলা থেকে কেরোসিন নিজ শরীরে ঢেলে আগুন দেন। তার চিৎকার শুনে স্বামী সজীত মহালী ও প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন।
পরদিন বুধবার (১০মে) সকাল ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূ সিথি মহালীর মৃত্যু হয় ।
জানা যায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে দেউন্দি চাবাগানের বিধু মহালীর মেয়ে সিঁথি মহালীকে বিয়ে করেন একই এলাকার দেউন্দি চাবাগানের কালা টিলার ভয় মহালীর পুত্র সজীত মহালী। বিয়ের পর থেকেই নানা ইস্যুতে পারিবারিক কলহ দেখা দেয় তাদের মধ্যে।
নিহত সিঁথির পিতা বিধু মহালী জানান, ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে প্রায় সময় নির্যাতন করতেন স্বামী। সিঁথি মানুষিক যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে এমন করেছে। তিনি এর বিচার চান।
চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হক জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্বামী সজীদ মহালী ও শশুর অভয় মহালীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সিঁথির পিতা বিধু মহালী স্বামী ও শশুরের নামে মামলা দায়ের করলে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।