শিরোনাম :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ শফি শাহেদের নেতৃত্বে র‌্যালি নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পাঠাগার সমৃদ্ধ করতে ‘৮৬ ব্যাচের বই উপহার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির র‌্যালী ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার পতনের ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি-সিলেটে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায়-ডা. ডোনার রোটারি ক্লাব-চা শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেটে সহযোগীসহ ‘শুটার’ আনসার গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব কোম্পানীগঞ্জ পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভা অনুষ্ঠিত আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ইসলাহী জোড় বাস্তবায়নে হেফাজতে ইসলামের মতবিনিময় জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে প্রাণ হারালেন যুবক বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলা ও মহানগরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ভারি বৃষ্টি, পাহাড় ধসের শঙ্কা!

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেট বিভাগে ভারি (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারি (২৮৯মিমি) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

শনিবার (১৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব আশঙ্কার কথা জানা যায়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামী রোববার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain