নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে রোববার রাতে বৈঠকের পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রলপাম্পের মালিকদের (একাংশের) ডাকা ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে ধর্মঘট স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৈঠক শেষে পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল সাংবাদিকদের রোববার রাতে বলেন, আমাদের কমিশনের বিষয়ে অগ্রগতি দেখে চলমান কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। মহাসচিব মিজানুর রহমান রোববার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, বিপিসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিপিসি চলতি মাসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। চলমান ধর্মঘট কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি সংস্থার কাছ থেকে জ্বালানি তেল (ডিজেল, পেট্রল, অকটেন) কিনে তা বিভিন্ন ডিপো ও পেট্রলপাম্পে পরিবহন এবং গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এই দুই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তিন দফা দাবি পূরণে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল এই দুই অ্যাসোসিয়েশন। এর মধ্যে একটি দাবি পূরণ করা হলেও তাদের মূল দাবি জ্বালানি তেলে কমিশন বাড়ানো এখনো পূরণ হয়নি। যা বিগত ২০১৬ সাল থেকে তারা দাবি জানিয়ে আসছে।
পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন দাবি আদায়ে রোববার ভোর থেকে সারা দেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রিতে ধর্মঘট পালন করে। ফলে দেশের বিভিন্ন ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহ রোববার দিনভর বন্ধ ছিল। পেট্রলপাম্পগুলোতে বিক্রি হলেও তেলের সংকট দেখা দেয় অনেক এলাকায়। অনেক পাম্পে রোববার সকাল থেকে বিক্রি হলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তেল শেষ হয়ে যায়। রাতে রাজধানীর অধিকাংশ পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। অনেককেই পাম্পে তেল নিতে এসে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যানবাহনের মালিকরা। রমনা পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তেল শেষ। তাই বিক্রি বন্ধ। সকালে অনেক পাম্পে পাওয়া গেলেও দুপুর নাগাদ তেল শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে পাম্প।