নিউজ ডেস্ক :: সব ঠিকঠাকই চলছিল। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর একটার পর শুরু হয় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ। রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এখনো থেমে চলছে এই সংঘাত। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট পাটকেলের জবাবে পুলিশ ব্যাপক টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্র্যানেড ছুড়ছে। পুরো কাকরাইল এলাকায় থমথমে অবস্থা। পাশের সড়কে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন হচ্ছে।
কাকরাইল মসজিদের পাশের একটি পুলিশ বক্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সড়কে দুটি টায়ারও জ্বলতে দেখা গেছে।
পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এখন তাদের ফোর্সও বেড়েছে। পুলিশ সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে। কাকরাইল সড়কে এখন পুলিশ গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া তেমন কেউ নেই।
এর আগে রাজধানীর পৃথক স্থানে কাকরাইল ও হাইকোর্টের সামনে মারামারিতে নাসির হেসেন (৩৫) ও মো: সুজন (৩০) নামে দুই জন আহত হয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহত নাসিরের ভাগিনা মো: শুভ জানান, তারা থাকেন মহাখালি কড়াইল তলা বস্তিতে। সেখানে এলিট নেট কোম্পানীতে কাজ করেন। তারা বৈশাখী পরিবহন বাসে করে গুলিস্থানে আসছিল। বাস কাকরাইলে আসলে অতর্কিত বাসে উঠে তাদের মারধর করে একদল লোক। এতে নাসির আহত হন।
এদিকে আহত সুজনের বন্ধু মো. সোহেল রানা জানান, তারা থাকেন মহাখালী ওয়ার্লেস গেট এলাকায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে দাবি করেন তারা। পিকআপে করে বাইতুল মোকাররম এলাকায় সমাবেশে আসার পথে হাইকোর্টের সামনে তাদের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে। তখন তার মাথায়, বুকে, ও গলায় ধারালো কিছু দিয়া যখম করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কাকরাইল ও হাইকোর্ট এলাকা থেকে আতহ দুইজন হাসপাতালে এসেছেন। এরমধ্যে সুজনের গলায়, বুকে ও মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তারা কীভাবে আহত হয়েছেন জানার চেষ্টা চলছে।