নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি -জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে র্যাব-১১ এর একটি দল রাজধানীর গুলশান এলাকায় একটি পাঁচতারকা হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জুয়েল আহম্মেদ (৫২), মোঃ ইউসুফ আলী ভুঁইয়া (৬৯), মোঃ মাসুম শিকারি (৪৫), হাবিবুর রহমান সেলিম (৪৮) মোঃ শফিউদ্দিন ভুঁইয়া (৫১), মোঃ শফিউদ্দিন ভুঁইয়া (৪৮), মোঃ মাসুকুল ইসলাম ওরফে রাজিব (৫৩), মোঃ শাকিল মিয়া (৪০), মোঃ আরমান মোল্লা (৪৬) ও মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৪)।
গত ৩১ অক্টোবর অবরোধের প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্য’কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমের ফুটেজ, মামলার এজহার ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণপূর্বক জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নাশকতা ও সহিংসতা চালিয়ে ততোধিক পুলিশ সদস্য’কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত করতে কতিপয় দুস্কৃতিকারী সহযোগীসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, ইট পাথর, ককটেল বোমা ফুটিয়ে দাপট প্রর্দশন এবং ভয়ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি করে ঢাকা-সিলেট মহসড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছের গোড়ালি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এসময় তারা মহাসড়কে এ্যাম্বুলেন্স গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইট- পাথর নিক্ষেপ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় গ্রেফতারকৃতরা তাদের অন্যান্য দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ, দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা ও আক্রমণ করে জখম করে। এরমধ্যে তারা ৩ জন পুলিশ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোসহ বিভিন্নভাবে গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে একপর্যায়ে নরসিংদী টু ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ভাংচুরসহ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষে মহাসড়কে বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
কমান্ডার আল মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা রাজধানীর গুলশান ও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও নামীদামী হোটেলে নিরাপদে আত্মগোপনের জন্য অবস্থান করে।
এ সকল নামীদামী হোটেলে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল এবং বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছিল।
রাজধানী গুলশান এলাকার স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করে গ্রেফতারকৃতরা গুলশান এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।