নিউজ ডেস্ক :: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরো উন্নত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এতে সফল হলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা। হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে এবং ভবন সংস্কার করার প্রয়োজন আছে। আমি সিলেটের সন্তান হিসেবে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনায় উন্নতি করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে আমাকে বেঁচে নিয়েছেন। আমি কখনো ভাবিনি মন্ত্রী হবো। আমার প্রতি সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ যাতে সুচিকিৎসা পায় আমি সেই লক্ষে কাজ করে যাবো।
সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার (৬ মার্চ) বিকাল ৪টায় সিটি কর্পোরেশন প্রাঙ্গণে তাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মমনিসর চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন খান পিপিএম, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল,মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী।
সংস্কৃতি কর্মী রজত কান্তি গুপ্ত এবং জান্নাতুল নাজনীন আশার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফিজ মোহাম্মদ আলী, গীতা থেকে পাঠ করেন সিসিকের বাজার তত্ত্বাবধায় চন্দন দাস, জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ললিতকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ এবং মনিপুরী নৃত্য পরিবেশন করেন মনিপুরী সেন্ট্রাল ফর আর্টস কালচার এর নৃত্যশিল্পী বৃন্দ।
এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।