নিউজ ডেস্ক ::১৩টি দাবিতে বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে সিলেট বিভাগে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি। তবে সোমবার (২৪ জুন) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কর্মবিরতি স্থগিত করেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন। জানা গেছে, গত ১৩ জুন ১৩টি দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রশাসন বরাবরে প্রদান করেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
দাবিগুলো ছিলো- ১) হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি গাড়িচালক সাহেদ আলীকে মামলা থেকে নিঃশর্তভাবে অব্যাহতি দিতে হবে। ২) ভারতীয় পণ্যের চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।৩) বিভাগের বিভিন্ন সেতুর টোল আদায়ের সময়সীমা নির্ধারণ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্রিজের টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।৪) টোল আদায়ের নামে পৌরসভাগুলোতে চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে।৫) এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুজিশন করা বন্ধ করতে হবে (বিশেষ করে মাইক্রোবাস) এবং রিকুজিশনকৃত গাড়ির জ্বালালি ও স্টাফদের খাবার যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে। ৬) এক-দেড় ধরে নবায়নের জন্য জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলো দ্রুত ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৭) বিআরটিএ-এর কার্যালয়গুলোকে দালালমুক্ত এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন পরিসেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ৮) রেকারের নামে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) উপজেলাভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান করার আইন বাতিল করতে হবে ।
১০) যত্রতত্র ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা বন্ধ করতে হবে । ১১) বিভাগের প্রত্যেক জেলার গ্যাস পাম্পগুলোতে হইতে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ১২) সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত খালি জায়গাগুলো অস্থায়ীভাবে গাড়ি স্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদানসহ অবৈধ দখলদারমুক্ত করিতে হবে।
১৩) সিলেট মহানগরের হাসপাতাল-ক্লিনিক ও মার্কেটগুলোর পার্কিং ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত রাস্তায় পার্কিং মামলা দেওয়া যাবে না।
২৫ জুনের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে ২৬ জুন সকাল থেকে বিভাগজুড়ে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুন থেকে পূর্বঘোষিত পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া দাবিগুলো বিবেচনাসাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন।
সিলেট বিভাগে পরিবহন অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি স্থগিত
১৩টি দাবিতে বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে সিলেট বিভাগে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি। তবে সোমবার (২৪ জুন) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কর্মবিরতি স্থগিত করেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন। জানা গেছে, গত ১৩ জুন ১৩টি দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রশাসন বরাবরে প্রদান করেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
দাবিগুলো ছিলো- ১) হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি গাড়িচালক সাহেদ আলীকে মামলা থেকে নিঃশর্তভাবে অব্যাহতি দিতে হবে। ২) ভারতীয় পণ্যের চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।৩) বিভাগের বিভিন্ন সেতুর টোল আদায়ের সময়সীমা নির্ধারণ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্রিজের টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।৪) টোল আদায়ের নামে পৌরসভাগুলোতে চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে।৫) এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুজিশন করা বন্ধ করতে হবে (বিশেষ করে মাইক্রোবাস) এবং রিকুজিশনকৃত গাড়ির জ্বালালি ও স্টাফদের খাবার যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে। ৬) এক-দেড় ধরে নবায়নের জন্য জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলো দ্রুত ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৭) বিআরটিএ-এর কার্যালয়গুলোকে দালালমুক্ত এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন পরিসেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ৮) রেকারের নামে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৯) উপজেলাভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান করার আইন বাতিল করতে হবে ।
১০) যত্রতত্র ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা বন্ধ করতে হবে । ১১) বিভাগের প্রত্যেক জেলার গ্যাস পাম্পগুলোতে হইতে ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ১২) সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত খালি জায়গাগুলো অস্থায়ীভাবে গাড়ি স্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদানসহ অবৈধ দখলদারমুক্ত করিতে হবে।
১৩) সিলেট মহানগরের হাসপাতাল-ক্লিনিক ও মার্কেটগুলোর পার্কিং ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত রাস্তায় পার্কিং মামলা দেওয়া যাবে না।
২৫ জুনের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে ২৬ জুন সকাল থেকে বিভাগজুড়ে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুন থেকে পূর্বঘোষিত পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া দাবিগুলো বিবেচনাসাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন।