অনুসন্ধান ডেস্ক :: যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে জিম্মি চার নারী ইসরাইলি সেনাকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শনিবার গাজা সিটির প্যালেস্টাইন স্কয়ারে রেড ক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। বিনিময়ে ইসরাইলও ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়। ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির আগে তাদের মুখোশ পরিয়ে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা প্যালেস্টাইন স্কয়ারে জড়ো করেন। অনেক ফিলিস্তিনিও সেখানে ছিলেন। তাদের মুক্তি দেওয়ার আগে হামাস ও রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন।
মুক্তি পাওয়া ওই চার নারী সেনা হলেন-কারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সময় তারা উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। তারা সবাই ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিলেন। প্যালেস্টাইন স্কয়ার থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক ইব্রাহিম আল খালিজি জিম্মিদের মুক্তির এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায় যে রেড ক্রসের কাছ থেকে তারা তাদের সেনাদের গ্রহণ করেছে। এখন তাদের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকৃত পশ্চিত তীরের ওফার প্রিজন ও নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেতজিওত প্রিজন থেকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। তাদের মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং ৭৯ জনের দীর্ঘমেয়াদে সাজা হয়েছে। কারাবন্দিদের মধ্যে সবচেয়ে বয়সি ব্যক্তির বয়স ৬৯ বছর এবং সবচেয়ে কম বয়সি বন্দির বয়স মাত্র ১৫ বছর। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের রামাল্লার বিতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিসরের মাধ্যমে তিউনিশিয়া, কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর অল্পসংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে।