গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের “ওয়েষ্ট জৈন্তা হিলস” ও “ইষ্ট খাসি হিলস”পাদদেশে অবস্থান। এসব রাজ্যের ভারি বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির বা পাহাড়ি ঢল সিলেটের গোয়াইনঘাটের নদ-নদী দিয়ে নেমে আসে। গোয়াইনঘাটের প্রধান নদ-নদী গোয়াইন নদী, পিয়াইন নদী ও সারি নদী ও হাওর দিয়ে পানির প্রবাহ বয়ে যায়।
পতি বছরেরই গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসী দুই/ তিন বার বন্যার কবলে পরেন। উল্লেখ্য গত ২০২৪ সালে দুই মাসের মধ্যে তিন দফা বন্যার কবলে পড়েছে গোয়াইনঘাটবাসী । তবে এবারের বন্যা পানি দীর্ঘ স্থায়ী ও ভয়াবহ রূপ দেখতে হতে পারে গোয়াইনঘাটবাসীর বলছেন এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিকরা।
এলাকাবাসী ও সচেত মহলের অনেকে বলছেন, অতিবৃষ্টির ও পাহাড়ি ঢলে কারণেই এই বন্যা। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু কারণ আছে। হাওরে অপরিকল্পিত বাঁধ, হাওরে, অবকাঠামো নির্মাণও নদীর নাব্যতা–সংকট।
নদীর তলদেশ পলিমাটিতে ভরে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি ও বালু পাহাড়ি ঢলে , পুকুর-খাল ময়লা আবর্জনায় ও মাটিদিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়াকে ও পনি নিস্কাসন ব্যাবস্থা বাঁধ দেওয়া কেউ দায়ী করছেন তারা। তবে কোনো কোনো ব্যাক্তি হাওরের অবকাঠামো এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন না।
অনেকে মনে করেন হাওরে অবকাঠামোর ও অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে পাহাড়ের ঢালের ও অতিবৃষ্টি পানির পানি প্রবাহের বাঁধা সৃষ্টি করে। যার কারণে বন্যার পানি দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ার সম্ভবনা বয়েছে। প্রতি বছরেই প্রায় কয়ে হাজার হেক্টর কৃষি জমি নিমজ্জিত হয়ে থাকে বন্যার পানিতে।
সরজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, এলাকাবাসী ও কিছু ব্যাক্তি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত হাওরে রাস্তর নামে অপরিকল্পিত বাঁধের নিমর্মান করছেন। এবং বেশ কিছু হাওর সরকারি জল মহালের তালিকায় রয়েছে। এসব হাওর কে জলমহল হিসাবে ঘোষণা করে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন । এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তি অপরিকল্পিতভাবে বাঁধের কারণে জল- মহাল ও দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে । বিল ইজারা নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন এসব জলমহালের বাঁধ অপসর না করলে আগামীতে ইজারা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন অনেক ইজারাদাররা।
এলাকার কয়েক জন বৃদ্ধ সঙ্গে কথা বলে জানান, আগে পাহাড়ি ঢলে পানি সকালে বন্যা হলে বিকেলে পানি নেমে যেত। আর এখন ঢলের পানিতে বন্যা হলে পানি আর নামতে চায় না তারা তাঁরি। এখন গোয়াইনঘাটে প্রতি হাওরে এলাকাবাসী মিলেমিশে পানি নামা রাস্তাগুলিতে বড় করে আইল( বাঁধ) বানাচ্ছে।
সচেতন এলাকাবাসীর বলেন নদী খনন ও হাওরের বাঁধে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতা কারণে বার বার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি জনসাধারণ ও কৃষকরা।
গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইদুল ইসলাম, বলেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও এলজিডি পরিকল্পিত ভাবে পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রেখে বাঁধ নির্মাণ করলে বিভিন্ন ছোট /বড় হাওরে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি পাহাড়ি ঢলে পানি দ্রুত নিষ্কাশনও হবে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।