শিরোনাম :
সিলেটে নতুন করে কী করতে চায় জাতীয় পার্টি নিজ উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লার বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ-মাওলানা হাবিবুর রহমান উসমান হাদীকে প্রকাশ্যে গুলির প্রতিবাদে জাগপার সিলেট মহানগরের তীব্র নিন্দা সিলেট ৬ : এমরান চৌধুরী ব্যতিক্রম, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে নিজেই মাঠে সিলেটের ৩১ হাজার প্রবাসী নিবন্ধন করলেন ‘পোস্টাল ভোটে’ ১২ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে-খন্দকার মুক্তাদির গণতন্ত্রের প্রতীক দেশ মাতা বিজয়ের মাসে সুস্থ্য হয়ে দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করবেন ইনশাআল্লাহ-আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট বিভাগের কোন আসনে সহকারি রিটার্নি কর্মকর্তার দায়িত্বে কারা খালেদা জিয়া সুস্থতা কামনায়- দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরন” তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি, ভাষণে যা থাকতে পারে

সিলেটে নতুন করে কী করতে চায় জাতীয় পার্টি

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান ডেস্ক ::: একসময় রংপুরের পর জাতীয় পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল বৃহত্তর সিলেট। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান সিলেটকে তার দ্বিতীয় দূর্গ হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে রাজনীতির মাঠে হারিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলটি। সুবিধাভোগী নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা, পল্টিবাজি, ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, কমিটি বাণিজ্য ও প্রবাসী নির্ভর নেতৃত্বেই শক্তিশালী এই দূর্গে দলটির দুর্গতি ঘটেছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তবে দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দলটির নেতারা।

দ্বিতীয় দূর্গে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দলকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির জি এম কাদের অনুসারীরা রাজনীতির মাঠে ফের সরব হওয়ার চেষ্টা করছেন। দলকে সুসংগঠিত করতে অতীতের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও অভিমানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নেতাদের দলে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

এরশাদের পতনের পর সারা দেশে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ধস নামলেও সিলেটে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছিল দলটি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে সর্বাধিক ৮টি আসন পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭টি এবং বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, গণতান্ত্রিক পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট একটি করে আসন পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নানা কারণে সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও এরশাদ শাসনামলে সুবিধাভোগী অনেক নেতা পরবর্তীতে ডিগবাজি খেয়ে অন্য দলে চলে যান।

দলটির প্রবীণ নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সিলেটের গ্রামাঞ্চলের মানুষ এরশাদ ও জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসেন। কারান্তরিণ এরশাদকে ভালোবেসে তারা সিলেট বিভাগে সর্বাধিক আসনে জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পর এরশাদ কারামুক্ত হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু হয়।

সিলেট জেলা ও মহানগরের নেতৃত্ব চলে যায় প্রবাসী নেতাদের হাতে। বিদেশ থেকে এসে প্রবাসী নেতারা কেন্দ্র থেকে তাদের পছন্দ মতো কমিটি নিয়ে আসেন। নির্বাচন আসলে বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী করা হয় প্রবাসীদের। এতে দেশের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের হতাশা ঘিরে ধরে। অবমূল্যায়িত হতে হতে একসময় ত্যাগীরা অভিমানে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।

এদিকে, বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা ত্যাগীরা ফের দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। প্রায় দেড় যুগ পর সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির হাল ধরেছেন সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট কাজী আশরাফ উদ্দিন। তাকে আহ্বায়ক ও রাজপথের একসময়ের পরিচিতমুখ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস শহিদ লস্কর বশিরকে সদস্য সচিব করে মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে জেলার আহ্বায়ক জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাব্বির আহমদ ও সদস্য সচিব আলতাফুর রহমান আলতাফ মিলে হাত দিয়েছেন জেলা পুনর্গঠনে। দীর্ঘদিন পর গত ৭ ডিসেম্বর জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে পালন করা হয়েছে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’।

সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব আবদুস শহিদ লস্কর বশির বলেন, ‘জাপার ত্যাগীরা দল ছেড়ে যাননি। মান-অভিমান নিয়ে তারা নিরবে-নিভৃতে আছেন। আমরা সিলেটে নতুন করে দলে প্রাণ ফেরাতে চাই। এজন্য এসব অভিমানী ত্যাগীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

জেলা জাপার আহ্বায়ক সাব্বীর আহমদ বলেন, ‘দলের ত্যাগীদের সাথে যোগাযোগ চলছে। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা হলে সিলেটের মানুষ জাপার পুনর্জাগরণ দেখবেন।’

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain