নিউজ ডেস্ক :: গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অধিন সিলেট নগরীর তালতলায় অবস্থিত সাবডিভিশন অফিসে ভাউচার চৌকিদার হিসেবে কর্মরত হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০)কে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সূত্রে জানা যায় হাবিবুর রহমান হাবিব সরকারি গণপূর্ত অফিসে নিয়মিত ডিউটি না করেও বেতন উত্তোলন করতেন। রাত্রিকালীন চৌকিদার হাবিব ২০০৫ সাল থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে ইএম উপ-শাখায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। মাঝে-মধ্যে তিনি নিয়মিত ডিউটি না করে তার পরিবর্তে সাগর আহমদ নামক ভাগ্নাকে দিয়ে ডিউটি করিয়ে তিনি সরকারী বেতন উত্তোলন করেন। বেশির ভাগ সময় হাবিব সরকারি দপ্তরে ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকতেন।
হাবিব এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা, প্রতারণা, জমিদখল, অর্থপাচার ও বিস্তর দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিলেট নগরীর সাগরদিঘিরপার এলাকার সড়ক নং ৩ জাহানার মঞ্জিল, বাসার নং ১১/২ ব্লক-সি, এই জায়গাসহ বাসাটি কৌশলে তার স্ত্রী মাহিয়া রহমানের নামে রেজিষ্টারি করেছেন। যা দ:নং-১৩৮৫৪/২০১২ সালে এই বাসার জমি প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করার সময় নিজের নামের পরিবর্তে স্ত্রীর নামে দলিল করেন।
এছাড়াও মাদক মামলার নং-১৩,২০-১২-১৪ দক্ষিণ সুরমা থানা। চেক প্রতারণা মামলা (সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন) সিঙ্গার শো-রুম মদিনা মার্কেট সিলেট। লোন আতœসাৎ কর্মস্থান ব্যাংক কাজিটুলা শাখা সিলেট।
আরও বিভিন্ন ব্যাংকে হাবিব ও তার স্ত্রীর নামে-বেনামে একাউন্টে নগদ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। হাবিবের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তার পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। হাবিব এখন সিলেট নগরীর ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন। হাবিবের ভাগ্না সাগর আহমদ নগরীর বাগবাড়ি এতিম স্কুল রোডের খান সাহেবের বাসায় বসবাস করে ক্যাসিনো নামক জুয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। যা তরুণ সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
হাবিবের বিরুদ্ধে এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানায় বিগত ২০-১২-২০১৪ ইং তারিখে একটি মাদক মামলা হয়। নগরীর মদিনা মার্কেটের একটি চেক ডিজঅনার মামলায় হাবিব আসামী হন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। তাছাড়া কোতোয়ালী থানায় বিগত ২১-১১-২০১৭ ইং তারিখে সিআর- ১৫৮০/১৭ ও দায়রা ৫৮৯/১৮ মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে করফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে। গত ৩০-১১-২১ইং সালে-২২৩৬/৬ নং স্মারকে চৌকিদার হাবিবকে চাকরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সূত্র:দৈনিক পুণ্যভূমি