শিরোনাম :
আঞ্চলিক ইতিহাসের ছোট-বড়ো বিষয় নিয়েই জাতীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়- প্রফেসর ড. এমরান জাহান সুনামগঞ্জে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন সিলেট চেম্বারের ‌কমিটির পদত্যাগ চান ব্যবসায়ীরা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবীতে সিলেটে বিক্ষোভ সিলেট ওসমানী মেডিকেলের নার্সদের কর্মবিরতি পালন সিলেট নিসচার মাসব্যাপী কর্মসূচীর উদ্ধোধন বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভা দেশনায়ক তারেক রহমান আগামী দিনের পথিকৃৎ: ইমদাদ চৌধুরী ফেঞ্চুগঞ্জে রাজিব আহসান জনগন কষ্ট পায় এমন কোন কাজ করা যাবে না আলহাজ্ব ইম্তাজ আলীর মৃত্যুতে মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী মহলের উদ্যোগে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিলেটে হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

রিপোর্টার নামঃ
  • বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের জৈন্তাপুরে তরুণ ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী (৩২) হত্যা মামলায় কয়েছ আহমদ নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় সাত আসামির তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েছ আহমদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার উপর শ্যামপুর গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অপর ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে আসামি কয়েছ আহমদের গলায় রশি লাগিয়ে তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েছ আহমদ রায়ের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।

মামলার অপর আসামি অপর আসামি একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফয়জুল করিমের ছেলে রাসেল আহমদ ও লাল মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পেনাল কোডের ২০১ ধারায় উভয়ের ৩ বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একত্রে চলবে, এমন রায় দেন বিচারক।

আরেক আসামি একই উপজেলার উপর শ্যামপুর গ্রামের মাহমুদ আলী ওরফে হরু মিয়ার ছেলে বিলাল আহমদকেও ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন- একই এলাকার ফয়জুল করীম, দেলোয়ার মেম্বার ও এমদাদ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবেদীন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের হাজী ইব্রাহিম আলীর ছেলে ইউনুছ আলীকে ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরে ৩১ ডিসেম্বর আটক আসামি রাসেল আহমদের দেওয়া তথ্যমতে মরদেহ এলাকার হাজী বরকত উল্লার বাড়ির পেছনের টিলায় মাটিতে পুতে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমদ আদালতে ২১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইতে যায়। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক বিনীত কান্ত নাথ।

২০১৯ সালে মামলাটি অত্র আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর হলে দায়রা ৫১৭/’১৯ মূলে রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অত্র মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain