শিরোনাম :
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত “অংশীজন সভা” বিশ্বনাথে বজ্রপাতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু সিলেটে রামু ট্রাজেডির এক যুগকে স্মরণ করে প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন ঐতিহাসিক রামু ট্রাজেডি”এর প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরাম সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চার জেলের মৃত্যু হৃদয়ে জকিগঞ্জ সিলেট এর সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক আম্বরখানা শাখার কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল সিলেটে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভায় রাজীব আহসান আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিলো না: ইমদাদ চৌধুরী সারাখাতুন উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন

সিলেটের কামরানকে হারানোর তিন বছর

রিপোর্টার নামঃ
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: ১৫ জুন ২০২০। তখনও ভোর। তখনও সকলে ঘুমে। একটি দুঃসংবাদ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন সবাই। ঢাকা থেকে খবর আসে আসে সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই।

করোনায় সিলেটবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসে আজ থেকে তিন বছর আগে। সিলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে এই দিনে কেড়ে নেয় করোনা।

আজ আরেক ১৫ জুন, বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুর তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে। মৃত্যুর তিন বছর পেরিয়ে গেলোও এখনও সিলেটবাসীর হৃদয়ে রয়ে গেছেন কামরান।

২০২০ সালের ৫ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ বছর বয়সী কামরানের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার আগে ২৭ মে তার স্ত্রী আসমা কামরান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ জুন কামরানকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন ভোরে মারা যান সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র কামরান। যিনি দীর্ঘদিন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে ছিলেন।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় ১৯৭৩ সালে তিনি প্রথমবার সিলেট পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে হন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান।

২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর কামরান মেয়র মনোনীত হন। ২০০৩ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে জিতে মেয়র পদ ধরে রাখেন তিনি।

২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আরও অনেক রাজনীতিবিদের মত কামরানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সে সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা কামরান কারাগারে থেকে নির্বাচন করেও বিপুল ভোটে জয়ী হন।

২০১৩ সালের নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে গিয়ে মেয়র পদ হারান কামরান। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি লড়েছিলেন, কিন্তু জয়ী হতে পারেননি।

১৯৮৯ সাল থেকে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন কামরান। সেই দায়িত্ব তিনি সামলেছেন প্রায় দেড় যুগ।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ পাওয়া কামরান মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একই পদে ছিলেন।

কর্মসূচি
বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বাদ যোহর সিলেটের হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার মসজিদে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।

দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরিবারের পক্ষ থেকেও মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

দুইদিনের কর্মসূচির মধ্যে গতকাল (১৪ জুন) বাদ এশা খতমে কোরআন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (১৫ জুন) কামরানের ছড়ারপাড়স্থ বাড়িতে সকাল ১১.৩০ মিনিটে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বাদ যোহর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও শিরণি বিতরণ করা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain