অনুসন্ধান নিউজ :: কোরবানির ঈদে বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘কালা মানিক’-এর দিকে ক্রেতাদের নজর পড়েছে। সিলেট নগরীর ৩৭নং ওয়ার্ডস্থত দুসকী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ তিনি গত পাঁচ বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন,তিনি এসময় আমাদেরকে বলেন আমি এই ঘাড়টি বিক্রয় করে আমি আমার মা-বাবাকে পবিত্র হজ করাতে চাই।
জানা যায়, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতায় ৬ ফুট। প্রায় ২০ মণ ওজনের বেশী হবে কালা মানিক
-এর দাম রাখা হচ্ছে ১১ লাখ টাকা।
বিশালাকৃতির ষাঁড় কালা মানিককে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন ষাঁড়টির দরদাম করেছেন। ন্যায্যমূল্যে পেলে ষাঁড়টি বিক্রি করে দেবেন মালিক আব্দুল আহাদ। এই মোবাইল নাম্বার-০১৭১২-৭৩১৮৮০ কেউ ক্রয় করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
‘কালা মানিক-এর মালিক আব্দুর আহাদ বলেন, ‘এই ষাঁড় পাঁচ বছর ধরে লালন-পালন করছি। ওজন প্রায় ২০ মণ এর বেশী হবে। ঘাড়টি দেখতে কালো তাই আমি আদর করে কালা মানিক নাম রাখি। তিনি কালা মানিক দাম চাওয়া হচ্ছে ১১ লাখ টাকা। ষাঁড়টি ন্যায্যমূল্যে পেলে কষ্ট করে হাটে না গিয়ে বাড়ি থেকে বিক্রি করে দেব।
তিনি বলেন, ষাঁড়টি মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই তাকে বড় করা হয়েছে। দিনে দু’বার গোসল করানো হয় কালা মানিককে। সার্বক্ষণিক চলে ফ্যান। এর খাদ্য তালিকায় থাকে সবুজ ঘাস, খড়, ভুট্টা ভাঙা, বিভিন্ন ভুসি, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া, পাকা বিভিন্ন ফল ও লবণ।
সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, দুসকীতে ২০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির ষাঁড় আছে। যদি কালা মানিক ২০মণ ওজনের হয় তাহলে সিলেট সদরের সবচেয়ে বড় আকৃতির ষাঁড় হবে কালা মানিক। আমাদের অফিস থেকে কালা মানিককে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি, চাহিদা অনুযায়ী পশুর ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি এ বছর খামারিরা ভালো দাম পাবেন।