নিউজ ডেস্ক :: ঊষার নির্মল স্নিগ্ধতায় বসন্ত এসেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেজেছে ক্যাম্পাস রঙিন সাজে। যোগ হল ভিন্ন রকম আমেজ। হাস্যোজ্জল ক্ষণ অবারিত। একে একে সম্পন্ন হল কর্মসূচির। দিনটি পার হল স্বতন্ত্রভাবেই।
এভাবেই বুধবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, বসন্ত দিবস, সংগঠনের যুগপূর্তি, ভালোবাসা দিবস আর সরস্বতী পূজার দিনটি কাটল শাবির। এদিন ৩৪ বসন্তে পদার্পণ করেছে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিশ্ববিদ্যালয়।
এ উপলক্ষে সকালে পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বেলুন উড়ানো ও কেক কাটা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে সিলেট অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি, বিশ্বের কাছে এ বিশ্ববিদ্যালয় একদিন রোল মডেল হবে। গুনগত মান বজায় রেখে আমরা কাজ করছি। শিক্ষা, গবেষণা আর উদ্ভাবন সাফল্যে হবে জয়জয়াকার।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন বলেন, ‘৩৪ বছরে অনেক সংকটই আমরা পাড়ি দিয়েছি। বর্তমান সংকটগুলো ঘুচিয়ে সামনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।’
এজন্য সকল অংশীদারদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ক্যারিয়ার ক্লাবের’ এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বলে জানান সংগঠনটির সদস্য আফসানা ইসলাম শিফা।
অন্যদিকে, ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’ ও নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার সাস্ট’ আয়োজন করে ‘বসন্ত বরণ’ উৎসব।
স্বপ্নোত্থানের সভাপতি আব্দুল্লা আল সাইফ জানান, এ উপলক্ষে বানানো টেন্টগুলো নান্দনিকভাবে সাজিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রাখা হয়েছে পিঠাপুলি, মিষ্টি, ফুলের তোরা ও ব্যাক্তিকে সাজাতে নানা অনুষঙ্গ। সহপাঠীর মায়ের অসুস্থতায় শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন। এখান থেকে প্রাপ্ত লভ্যংশ দেওয়া হবে ওই মায়ের চিকিৎসায়।
অপরদিকে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩২টি পূজামন্ডপ বানানো হয়। সবমিলিয়ে উৎসবের আমেজে দিনটি ছিল অন্যরকম।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘শেষ বর্ষের এমন আয়োজন আবেগ আপ্লুত করেছে। গত কয়েক বছর উৎসবে ভাটা পড়েছিল। তবে এবার পুরোটাই ভিন্ন চিত্র। আশা করি, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে উৎসব আয়োজন ইতিবাচক সাড়া ফেলবে।’’
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে শীতকাটিয়ে ঝড়াপাতার দিন আসছে। বসন্তের আগমণে শাবি যেন উৎসবের শিক্ষাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। নতুন অনেক কিছুই শিখছি, উপভোগ করছি।’’