শিরোনাম :
সিলেটে প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুন : স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হাসনাত-সারজিসকে ট্রাকচাপায় হত্যার চেষ্টা সিলেট তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্ত সম্পদে অবৈধ দখল পর্যবেক্ষণে ম্যাজিস্ট্রেট ও অপারেশন টিম আনোয়ার ফাইন্ডেশন ইউকের উদ্যোগে সম্মাননা প্রদান গোয়াইনঘাটে ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা হবিগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী চাচা-ভাতিজা নিহত সিলেট মহানগরীর ভাড়া নির্ধারণ ও অবৈধ গাড়ি পার্কিং বন্ধ করার দাবিতে সিসিক প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান সিলেট জেলা বিডিআর কল্যাণ পরিষদের মানববন্ধন সিলেটে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশ সিলেটের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/ সংস্থা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়

সোনিয়াকে বাঁচানো গেল না

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

গতকাল সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন জানান,“বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।”

সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।

এরআগে, মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৫) ও সাবিনা আক্তার (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)।

তাদের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ২ টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়, তুফান হয়।এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসতঘরের ছাউনির টিনের উপর ৩৩০০ কেভির হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়ে ছিল। সেহরির পর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই পুড়ে মারা যায়।

সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র দেব জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার কারণে রাতেই তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain