শিরোনাম :
ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান সিলেটের দক্ষিণ রনিখাই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক হলেন ফয়েজ আহমেদ দৌলত সিলেটে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তির শেষ নেই আশা’র শিক্ষা কর্মসূচীর অভিভাবক মতবিনিময় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মজলুম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমরান চৌধুরী সিটি ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন মিটার পাঠক ও বিতরণকারী ঐক্য পরিষদের সংবর্ধনা

ইতালি যাওয়া হলো না গোয়াইনঘাটের ফয়সলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটের নবগঠিত ১২নং সদর ইউনিয়নের হোয়াউরা গ্রামের ফয়সলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের শোকে বার বার মুর্চা যাচ্ছেন গর্ভধারিনী মা ও পিতা হবি মিয়া। সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ছেলেকে পাঠিয়ে ছিলো দালাল চক্রের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল লিবিয়া হয়ে ইতালি। দেড় মাস আগে লিবিয়া থেকে প্লাস্টিকের নৌকায় করে ইতালির পথে রওয়ানা হয়ে সাগরের মাঝেই দুর্ঘটনায় সলিল সমাধির ধারণা করা হচ্ছে ফয়সলসহ আরোও ২৮ জন অভিবাসীর। ফয়সলের বাড়ি হোয়াউরা গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমায় ফয়সল। সেখান থেকে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী লিভিয়ার দালাল মাধ্যমে সাগর পথে প্লাস্টিকের ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে ৩০ জন অভিবাসী রওয়ানা হন। উত্তাল সাগরে টেউয়ের তোড়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয় তাদের বহনকারী ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি। সূত্রমতে ৯ ঘন্টার পথে ৮ ঘন্টা অতিক্রম করার পর দূর্ঘটনায় পতিত হয় ইঞ্জিন নৌকাটি। ঐ ৩০ জনের মধ্যে ৬ জন সাগর সাতরে পারে উঠতে পারলেও বাকিদের সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পরই ইতালি থেকে ফয়সলের বড় ভাই ফারুক দালালসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে ফেসবুক মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও এদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি ।
জানা যায় ৩০ জন অভিবাসীর মধ্যে সবাই বাংলাদেশী। সাগরে নিখোঁজ ফয়সলের ব্যাপারে জানতে তাদের বাড়ীতে গেলে মা বিলাতুন নেছা ছেলের শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অঝরে কাঁদছিলেন বাবা হবি মিয়া। ছেলের শোকে বার বার তারা মুর্চা যাচ্ছিলেন তারা। তাদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ক্রমশই ভারি হয়ে উঠে। ছেলের ছবি দেখিয়ে মা বিলাতুন নেছার করুণ আর্তনাদে বিলাপ করছিলেন অপরাপর আত্মীয় স্বজনেরা।
বাড়ীর উঠানে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি গরু। যা বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে নিখোঁজ ফয়সলের সন্ধান লাভে শিরণীর জন্য। বিভিন্ন পীর, কবিরাজ, গুণিন ব্যক্তি ও জিন সাদকদেরও সহযোগিতা চাওয়া হয় তার সন্ধানে।
কথা হলে বড় ভাই খলিল মিয়া জানান, আমাদের ৬ ভাই ২ বোন। ফারুক নামের এক ভাই ইতালিতে থাকে। লিবিয়া থেকে সাগর পথে সহজে ৯ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে ইতালিতে গিয়েছে সে। সেখানে অভিবাসীরা সহজে নাগরিকত্ব লাভ এবং কর্মসংস্থান পায়। এমন সুযোগ সন্ধানে ইতালি প্রবাসী ভাইয়ের সূত্রে লিবিয়ার দালালদের মাধ্যমে ফয়সলেরও ইতালি যাওয়ার বন্দোবস্ত হয়। কথা মত দালালদের টাকা দিয়ে নৌ-পথে পাড়িও জমায় ফয়সল। কিন্তু উত্তাল সাগরের টেউ আচড়ে পড়ে তাদের ইঞ্জিন নৌকাটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সাগরেই তাদের সলিল সমাধির আশংকা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর থেকে অদ্যাবধি ফয়সলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ছেলে ফয়সলের ছবি হাতে নিয়ে তার মা বিলাতুন নেছার কান্না নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান আশপাশের প্রতিবেশীরা।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain