শিরোনাম :
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে আঞ্চলিক সড়কে ভাঙন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিএনপির সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ডিবি কার্যালয়ে থাকবে না কোনো আয়না ঘর-ভাতের হোটেল : মল্লিক সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের সদস্য শিক্ষা শিবিরে এডভোকেট জুবায়ের সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে প্রাণ গেল পুলিশের বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চলের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ গঠন শাবি ভিসি’র বাংলোর সিসিটিভি’র হার্ডডিস্ক ‘গায়েব’ হিউম্যান রাইটস’র চেয়ারম্যান দেলোয়ার খানের বিদায়ী সংবর্ধনা কবি ও লেখক বাবুল দেবের রচিত নাড়ির টান ও প্রতিদিন প্রতিক্ষণ বই দুটির প্রকাশনা উৎসব ফেঞ্চুগঞ্জে সংবর্ধনায় খান জামাল-গনহত্যায় জড়িতদের জাতী ক্ষমা করবেনা

সুনামগঞ্জে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

রিপোর্টার নামঃ
  • মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান নিউজ :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত ২২ অক্টোবর রাতে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৈকতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তের পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain