অনুসন্ধান নিউজ :: ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দু’দিন ব্যাপী আজিমুশ্বান ইজতেমা। সংগঠনের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ ফজর ১ম অধিবেশনে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান বর্ণভী সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বয়ান পেশ করবেন সংগঠনের আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী। তারপর ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি অধিবেশনে দেশী ও বিদেশী বরেণ্য উলামা-মাশায়েখ ও বুজুর্গানে দ্বীন বয়ান পেশ করবেন।
বুধবার বিকালে দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মুসল্লিরা সেখানে অবস্থান করছেন। ইজতেমা মাঠে আছরের নামাজে ৫ সহ¯্রাধিক মুসল্লিগণ নামাজ আদায় করেন।
আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ শাইখুল ইসলাম আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র এই ইজতেমায় প্রায় ২ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে ১১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে উপ-কমিটির নেতৃবৃন্দ ইজতেমা মাঠে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা যায়, ‘১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের ছয় দফা কর্মসূচি ইসলামের দাওয়াত, সংগঠন, সুশিক্ষা, আত্মশুদ্ধি, সৃষ্টিজগতের সেবা, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এসব বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। পথচলার ৭৭ বছর পূর্তিতে সিলেটে দুই দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে ইজতেমা স্থল সাজানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আগত মুসল্লিদের থাকা-খাওয়া ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমার আয়োজন কয়েকদিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো। বিএনপির সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা থেকে এমন অনুরোধ করা হয় বলে জানিয়েছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদীপ দাস। ১৯ নভেম্বর নগরের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে আপত্তি পুলিশের।
অবশ্য পুলিশের বাঁধাদানের খবরে মঙ্গলবার রাত থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিশিষ্ট আলেমদের সাথে মতবিনিময়কালে আঞ্জুমানের আমীর মঙ্গলবার রাতেই ইজতেমা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। সারারাত মাঠে অবস্থানরত মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটান। বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে আয়োজক সংগঠনের আমির মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বলেন, আমরা সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছি। আলেম উলামারাও আসতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় ইজতেমা পেছানা সম্ভব নয়। তবে আমরা আইন মান্য করি। এখানে কেউ বিশ্খৃলা করবে না। এখান থেকে কেউ বিএনপির সমাবেশেও যাবেনা। অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত আজিমুশ্বান ইজতেমা সফলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজপ্তি