নিউজ ডেস্ক :: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর কোনো বাধা-নিষেধ নেই বলেও জানান তিনি। আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির যে গণসমাবেশ হয়েছে, সেটিকে কেন্দ্র করে বিএনপির পার্টি অফিস কেন্দ্রিক গত ৭ ডিসেম্বর অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে বেশকিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার কার্যক্রম ও ক্রাইম সিনের জন্য বিএনপির কার্যালয় একদিনের মতো বন্ধ ছিল। পরে কার্যালয়ের চাবি তাদের (বিএনপি নেতাদের) কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় তাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।’
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সড়কে বেরিকেড দেওয়া প্রসঙ্গে মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য ছিল। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মতিঝিল এলাকায় শৃঙ্খলার স্বার্থে কিছু চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। যা এরইমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। নয়াপল্টনের সামনের সড়ক খোলা আছে। বর্তমানে মানুষের চলাচল ও যান চলাচলও স্বাভাবিক।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কার্যালয়ের গেট খুলে দেয় পুলিশ। এরআগে, বেলা ১১টার পর নয়াপল্টনের দুই পাশের রাস্তার ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ। শুরু হয় যান চলাচল। কার্যালয় খোলার পর একে একে ভিতরে প্রবেশ করেন বিএনপির সাংগঠনিক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী সদস্য সাত্তার পাটোয়ারীসহ নেতাকর্মীরা।
এদিকে, দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়ার সংবাদে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা।
গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নাইটিঙ্গেল থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চলাচলের জন্য এ রাস্তা খুলে দেওয়া হলেও শুক্রবার সকালে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল যাওয়ার রাস্তা এবং ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল চলাচলের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।