শিরোনাম :
তরুণদের অবক্ষয় থেকে দুরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই: খন্দকার মুক্তাদির বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন সিলেটে মাদকসহ একজনকে ধরলো পুলিশ সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ফরিদ আহমদের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শোক সাব ল্যাফটেনেন্ট নাসিফকে পায়রা সমাজকল্যাণ সংঘের সংবর্ধনা নাজাতুল উম্মা একাডেমিতে বই বিতরণ অনুষ্ঠিত যারা নিজেদেরকে একমাত্র দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল দাবী করেন-সিলেট রিজভী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেটে শীতবস্ত্র বিতরণ বছরের প্রথম দিনে সিলেট সীমান্তে আ ট ক দুই ভারতীয় নাগরিক দুর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ

শিশু আব্দুল্লাহ ছাড়া বেঁচে রইলো না কেউই

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে শিশু আব্দুল্লাহও গিয়েছিল আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে। দিনশেষে একই মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে অরক্ষিত লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় মা-বাবা ও ছোট ভাই। এ সময় প্রাণে বেঁচে যায় শিশু আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাতিলা এলাকায়। এতে একই পরিবারে শিশু আব্দুল্লাহ ছাড়া বেঁচে নেই কেউ। ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারায় শিশু আব্দুল্লাহ বাবা আজগর আলী, মা সারামণি ও ছোট ভাই আব্দুর রহমান আইয়ান।

দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করোটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় বসবাস করতেন। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামে।

শনিবার সকালে নিহত আজগর আলীর গ্রামের বাড়ি বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করেন স্বজনরা। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, আজগর আলী একজন প্রবাসী। তিনি বাড়িতে আসার পর পরিবার নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নানার বাড়িতে তার দুই শিশুসহ স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চল রেললাইনের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাতিলা অরক্ষিত লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় লেভেলক্রসিংয়ের আশপাশ বন জঙ্গলে ঢেকে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল দেখা যায় না। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে আজগর আলীর স্ত্রী সারামনি ও ছোট ছেলে আব্দুর রহমান আইয়ান নিহত হয়। এতে গুরুতর আহত হয় আজগর ও বড় ছেলে আব্দুল্লাহ।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এতে শিশু আব্দুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও আজগর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকায় যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

আজগর আলীর উকিল শ্বশুর আশরাফ আলী বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মধ্যে তিনজনই মারা গেছেন। বেঁচে রয়েছে শুধু শিশু আব্দুল্লাহ। শনিবার সকালে তিনজনের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এখন শিশু আব্দুল্লাহ তার দাদা-দাদির কাছে রয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain