নিউজ ডেস্ক :: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে দায় স্বীকার করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯)। জবানবন্দিতে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুসহ ১৫ জনের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফয়সাল ইনাম কমল।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কমলকে সোমবার রাতে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে ফয়সাল ইনাম কমল সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উসকানিদাতা হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ১৫ অক্টোবর দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি মন্দির ও মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর হয়। সে সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নোয়াখালীর ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়; গ্রেফতার করা হয় প্রায় ২০০ জনকে। এর মধ্যে ফয়সাল ইনাম কমলসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমলকে (৩৯) ওই ঘটনার ‘অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই মামলায়।