নিউজ ডেস্ক :: দ্রুত শনাক্ত না হওয়ার কারণে স্তন ক্যান্সসারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। রোগটি সম্পর্কে রয়েছে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা। আমাদের দেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন এই ক্যান্সারে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব বলে জানান “ব্রেষ্ট ক্যান্সার সারভাইর্বাস অব সিলেট” আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় নগরীর দরগাগেইটস্থ একটি অভিযাত হোটেলের হলরুমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের এর সহকারী পরিচালক ডা.শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ব্রেষ্ট ক্যান্সার সারভাইবার প্রকৌশলী অনিকা রয় এর পরিচালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জাারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. ডি. এ. হাসান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. দীলিপ, ডা. শারফিন,ডা.পারভিন আক্তার, ডা. নাহিদ ইলোরা প্রমুখ।
সিলেট তথা বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো (২০১৬-২০২১) গত ছয় বছরে স্তন ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হওয়া মা-বোনদের নিয়ে আয়োজিত সচেতনতা মূলক আলোচনা সভায় চিকিৎসকগণ আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজারেরও বেশি নারী নতুন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬৭৮৩ জন। ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯% ভোগেন স্তন ক্যান্সারের। এটা মোটেও সুখকর নয়।উপসর্গ দেখা দিলে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং দ্রুত শনাক্ত হলে ৯৫ শতাংশ স্তন ক্যানসার নিরাময় সম্ভব।আমাদের দেশে রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা এ রোগটি প্রকাশ করতে চান না, এমনকি শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন। বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে, তখন চিকিৎস্যা ব্যায়বহল হযে যায় তখন রোগীরা আর নিয়মীত চিকিৎসকের কাছে আসেননা এক সময় আর কিছুই করার থাকেনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে কিছুটা সচেতনতা বাড়ার কারণে এখন মানুষ চিকিৎসকের কাছেও আগের তুলনায় আসছে বেশি আর এ কারনে আমরা জানতেও পারছি বেশি । বেশ কিছু কারনে এ রোগটি হতে পারে, জীবনাচরণে এবং খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে, সেটি একটি কারণ,এছাড়া কারো পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে এটা হতে পারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার ১০০ ভাগ নিরাময় যোগ্য, রোগী বাকি জীবন পরিবারের সবার সাথে সুখে শান্তিতে থাকতে পারেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের সহয়োগী অধ্যাপক ডা,দেবাশীষ পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা শুভেচ্ছা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন,প্রফেসর ডা. এমএ হাই,সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল,ডা.ফারজানা রেজোয়ান প্রমুখ
অনুষ্ঠানে আগত বক্তারা বলেন যে এমন একটি মহৎ অনুষ্ঠান সিলেট তথা বাংলাদেশে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হলো এমন সচেতন মূলক ও বিজ্ঞানধর্মী আলোচনা বেশিবেশি হওয়া প্রয়োজন। বক্তারা “ বেষ্ট ক্রান্সার সারভাইবার্রস অব সিলেট” ও নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের প্রশংসা করে বলেন, যে এই সংগঠন ও চিকিৎসা কেন্দ্রটি ক্যান্সার চিকিসায় সিলেটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা আগামীতে ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসায় আরো আধুনিকায়ন ঘটাবে ।