অনুসন্ধান নিউজ :: নগরের উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে সকল নাগরিকের গৃহ কর প্রদান করার তাগিদ দিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট প্রেসক্লাবের সাথে মতবিনিময় সভায়দ্বয় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সক্সমতা বাড়ানোর লক্ষেই আইনানুগভাবেই সস্প্রতি মাঠ জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। তারই আলোকে নাগরিকদের সকল স্থরের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমের দাবীকৃত গৃহকর আদায়ে নগরবাসির সহযোগিতা প্রয়োজন। সিসিকে ২৭টি ওয়ার্ডে নাগরিক সচেতনা সৃষ্টি ও কর প্রদানে উদ্ভোদ্ধ করণের লক্ষে কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সভায় গুরুত্বপর্ণ মতামত প্রধান করেন সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ছামির মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারে অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি বর্মকর্তা ইয়াসমিমন নাহার রুমা, প্রধার রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান এসেসর চন্দন দাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।
মত বিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে সিসিক মেয়র জানান, স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯ এর ৮২ ধারা মোতাবেক দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনকে কর আরোপের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজ ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয়।
দি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (টেক্সেশন) রুলস ১৯৮৬ অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর সিটি কর্পোরেশনের অন্তভূক্ত সকল বানিজ্যিক ও অবানিজ্যিক ভবন, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি এসেসমেন্ট/রি-এসেসম্যান্ট করার নির্দেশনা রয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সেবা ও উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করতে ও সুষম রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য ২০১৯ সালে মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়। এর আগে এই জরিপ হয়েছিল ২০০৬-০৭ সালে।
দীর্ঘ সময় এসেসমেন্ট না হওয়া এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি না পাওয়ায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতিও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরিন ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছেিএই তুলনায় কয়েকগুন বেশি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন সাপেক্ষে সিলেট সিটি কর্পোরেশন দেড় বছরে জরিপ শেষ করে বিধি অনুযায়ী সকল সরকারী-বেসরকারী ভবন, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির হোল্ডিং টেক্সের প্রাথমিক দাবি প্রস্তুত করেছে।
সাম্প্রতিক মাঠ জরিপের তথ্যানুসারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৭৫ হাজার ৪শত ৩০টি হোল্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে নতুন হোল্ডিং টেক্সের আওয়ায় আসবে ২০ হাজার ৬শ ৩০টি। জরিপকৃত সংখ্যা ও পরিমানের উপর ভিত্তি করে ১শ ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৪শ ৪৫ টাকা টেক্স দাবি প্রস্তুত করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালেয়ের ২০১১ সালের পরিপত্র অনুসারে আদর্শ কর তপসিলে গৃহকর ৭ শতাংশ, করজারভেন্সি ৭ শতাংশ, আলো ও পানি কর ৩ শতাংশ করে এবং স্বাস্থ্য কর ৮ শতাংশ হারে মোট ২৮ শতাংশ কর দেয়ার কথা থাকলে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের সুবিধা বিবেচনায় ২০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়।