শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতা ফাহিম আহমদ এর ওপর হামলায় কোতোয়ালী থানা সেচ্ছাসেবক দলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএনপির নেতা সৈয়দ জুয়েল কারামুক্ত সিলেট কারা ফটকে সংবর্ধনা সিলেটে ডেন্টাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগের উদ্বোধন সিলেট গোয়াইনঘাট সীমান্তে খেলার মাঠ নিয়ে উত্তেজনা কমলগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, বিজিবির হাতে আটক ১৫ তরুণদের দক্ষতা প্রমাণে প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে টুর্নামেন্ট: এড. এমরান আহমেদ চৌধুরী সিলেটে হকার, যানজট ও মাদকমুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে-আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান-হকিস্টিক, ব্ল্যাংক চেক উদ্ধার বেকারত্ব দূরীকরণ ও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যবসার কোন বিকল্প নেই-আব্দুর রহমান রিপন সিলেটে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন সিলেটের সাবেক ডিআইজি মিজান

রিপোর্টার নামঃ
  • সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুস লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজান।

পাশাপাশি দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরও নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন। একইসঙ্গে আসামিরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এদিন সকালে আসামি মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে বিচারক তাদের কাছে সাফাই সাক্ষী দেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। এসময় আসামিরা সাফাই সাক্ষী না দিলেও লিখিত বক্তব্য জমা দেবেন বলে আদালতকে জানান। এজন্য তারা সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছরেরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদক পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুস নেন।

এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে। গত ২০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain