নিউজ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গ্রামিণ বাজারের ধানহাটা উদ্ধারসহ বাজারের গলি ও রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শনকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার নরসিংপুর বাজারে ওই সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরসিংপুর বাজারে ধানহাটা উদ্ধার, বাজারের গলি ও রাস্তা সমপ্রসারণের উদ্দেশ্যে দোকারের মালিকানা ও দখল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকালে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, ওসি দেবদুলাল ধরের উপস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মাপজোক করা হচ্ছিলো।
এ সময় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হন। এসময় কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছেন শিহাব উদ্দিন, সাদিকুর রহমান, গয়াছ উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, সফিক, কবির আহমদ ও নুর আহমদ।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর সংঘর্ষ ও আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাজারের রাস্তা সংলগ্ন দোকানপাটের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের পূর্ব বিরোধ ছিলো। এনিয়ে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিততি এখন শান্ত রয়েছে।