নিউজ ডেস্ক :: সময়ের সাধারণ নিয়মকে সরিয়ে রেখে বসন্তে হানা দিয়েছে ‘কালবৈশাখী’। শুক্রবার বিকেলে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস এবং গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে শুরু হয় শীত শেষে বসন্তের বৃষ্টি। অল্পক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস, আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।
ঝড়ের দাপটে ফুলে ফুলে ঘ্রাণে ভরপুর ছিল যেসব সজনে ও বাতাবিলেবুর গাছ- সেগুলো দুমড়েমুচড়ে গেছে। ঝরে গেছে অসংখ্য আমের মুকুল।
আমচাষী নূর জামাল জানান, মুকুল অনেক ভালো এসেছিল। কিন্তু প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। টাকা জমিয়ে আম বাগান করা মনে হচ্ছে সব বৃথা হয়ে গেলো।
পূর্ব খাসবাগ এলাকার কৃষক শাহজাহান জানান, ঝড়ে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টি এক প্রকার মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
শিলাবৃষ্টির জেরে অনেক স্থানে ঢেকে গিয়েছিল সাদা চাদরে। শুধু রংপুর নয়, বিভাগের সব জেলাতেই বৃষ্টি হয়েছে । ঝড়-বৃষ্টির জেরে মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্তে গাছ ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনে কালবৈশাখীর মৌসুম হওয়ায় এখন থেকে হঠাৎ হঠাৎই বিকেলে ও মধ্যরাতে ঝড়-বৃষ্টি হবে। লঘুচাপ ও বাতাসের সংমিশ্রণে বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি দেখা দেবে। তবে বিগত বছরগুলোতে মার্চ মাসে এ প্রকোপ দেখা দিয়ে এপ্রিলে তা চূড়ান্ত রুপ ধারণ করলেও এবছর একটু আগে আগেই নেমেছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর বাসিন্দা দিদার বলেন, বিকেলে প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে আছে। বসন্তে শিলাবৃষ্টি কখনো এর আগে দেখিনি।
শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে ফসল ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঝড়ের প্রকোপে গাছের ডাল ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় রংপুরসহ এর আশে পাশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমের মুকুল, ভুট্টা ও গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে বাংলাদেশ পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করেছি। থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র, ব্যারাক, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে ১০ তলা বিল্ডিং করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।’
প্রতি বিভাগে একটা করে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আকাশ পথে সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে পুলিশের গতিশীলতা ত্রিমাত্রিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের জন্য ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে দুটি হেলিকপ্টার কেনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে আমরা ইতোমধ্যে পুলিশে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি। নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।’