আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের কারণে বন্দরনগরী মালিউপোরের বাসিন্দারা শহর ছেড়ে যেতে পারছেন না। ছবি: রয়টার্স
মারিওপোলে পরাজয় স্বীকার করে সেনা ও শহর কর্তৃপক্ষকে আত্মসমর্পণ করতে রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার মধ্যে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেন বলেছেন, আত্মসমর্পণের প্রশ্নই আসেন না। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মারিওপোল শহরে সকাল ১০টার মধ্যে মানবিক করিডর খুলে দিতে চায়। এ জন্য তারা কিয়েভের কাছ থেকে ভোর ৫টার মধ্যে লিখিত সম্মতি পেতে চায়। অর্থাৎ প্রস্তাবের লিখিত প্রতিক্রিয়া পেলে বাসিন্দাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দিতে মানবিক করিডর খুলবে রাশিয়া।
রাশিয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টের প্রধান কর্নেল-জেনারেল মিখাইল মিজিনসেভের উদ্ধৃতি দিয়ে রিয়া নভোস্তি জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্মকর্তারা আত্মসমর্পণের শর্তে রাজি না হলে তাদের ‘সামরিক ট্রাইব্যুনালের’ মুখোমুখি হতে হবে।
তবে রাশিয়ার এ প্রস্তাবের পর সোমবার গভীর রাতে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, আত্মসমর্পণের ‘কোনো প্রশ্ন’ থাকতে পারে না। গণমাধ্যম ইউক্রেনস্কা প্রাভদা তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমরা ইতোমধ্যে রাশিয়াকে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’
এর আগে গত শনিবার মারিওপোলের সিটি কাউন্সিল অভিযোগ করেছিল, রাশিয়া অবৈধভাবে শহরের ‘কয়েক হাজার’ বাসিন্দাকে জোর করে নিজ দেশে নিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত প্রায় পাঁচ লাখ নাগরিকের মারিওপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।