নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্রােপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আসামিরা জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামিরা হলেন- নগরীর সোনারপাড়া এলাকার নবারুন ১৪৬ নং বাসার মৃত নুর উদ্দিননের ছেলে ফয়জুল কয়েস, গোলাপগঞ্জের খাটকাই গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী বিলকিছ ও বিয়ানীবাজারের খাগাইল আছিরগঞ্জ বাজারের ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রাহেলা বেগম।
এর আগে গত ২৬ মার্চ সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত অপরাধ করার অভিযোগে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪জনকে এজহারনামীয় আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন পীরের চক এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম নামের এক নারী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সারোয়ার হোসেন ভুইয়া জানান, মামলার বাদি সালমা বেগমকে নিয়ে ফেসবুকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইসের অপরাধ করার দায়ে তিনি ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে কয়েস ও আরও ২ মহিলাসহ তিনজন আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনঞ্জন দে বলেন, আসামিরা মামলার বাদি সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাইবার অপরাধ করেছেন। মঙ্গলবার মেট্রােপলিটন ১ম আদালতে কয়েসসহ আরও ২ মহিলা জামিন চাইতে গেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠান আদালত।
মামালার বাদি সালমা বেগম বলেন, আমি ন্যায় বিচারের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা করেছি। আদালত থেকে কয়েসসহ তিনজনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েস আমাকে জেল থেকে বের হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি নেন। কয়েস একজন প্রতারক। তার প্রতিষ্ঠিত স্বপ্নতরীর সমবায়ের খপ্পরে পড়ে অনেকেই পথে নেমেছেন।সূ্ত্র:সিলেটভিউ