শাবির-জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দু’জনের সাজা

রিপোর্টার নামঃ
  • মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়াকে ৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফয়জুলকে ২০ হাজার টাকা এবং সোহাগকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া মামলার বাকি ৪ আসামি- ফয়জুল হাসানের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোটেক মোতাহের আলী বলেছন, রায়ের কপি হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন তারা।

এর আগে গত ২২ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। ফয়জুল হাসান নামে এক মাদ্রাসাছাত্র ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপুর্যপরি আঘাত করে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেহাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে জাফর ইকবালকে আহত অবস্থায় প্রথমে নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে পরদিন মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফয়জুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

গত ১০ মার্চ চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। অবশেষে আজ সেই চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।শিা

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দু’জনের সাজা

 

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়াকে ৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফয়জুলকে ২০ হাজার টাকা এবং সোহাগকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া মামলার বাকি ৪ আসামি- ফয়জুল হাসানের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোটেক মোতাহের আলী বলেছন, রায়ের কপি হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন তারা।

এর আগে গত ২২ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। ফয়জুল হাসান নামে এক মাদ্রাসাছাত্র ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপুর্যপরি আঘাত করে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেহাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে জাফর ইকবালকে আহত অবস্থায় প্রথমে নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে পরদিন মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফয়জুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

গত ১০ মার্চ চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। অবশেষে আজ সেই চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain