শিরোনাম :
সিলেট মহানগর দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের কর্মী সমাবেশ বিজিবি’র অভিযানে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতে হবে : এড. এমরান চৌধুরী পূর্বাশা শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে বিএনপি নেতা আকতার রশীদ চৌধুরীকে সংবর্ধনা সিলেটে নারীর কাছে মিললো বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ টাকা বৃহত্তর জৈন্তিয়া কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক কমিটির সভা সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলণের প্রস্তুতি সভা সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মহানগর জমিয়তের প্রচার মিছিল সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ১কোটি ২১ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ সেনাবাহিনী যেতেই পালালেন রিকশাচালকরা, ধাওয়া দিলেন পথচারীরাও

আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শহীদ মিনারের সামনে তার লাশ পৌঁছায়। এরপর সেখানে সর্বস্তরের মানুষ মুহিতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর আবদুল মুহিতের মরদেহ সড়ক পথে সিলেট নেওয়া হবে।

এর আগে মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা হয়। এরপর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ সড়কপথে সিলেট নিয়ে আসা হবে। রবিবার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান প্রবীণ অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র এবং এক কন্যা রেখে গেছেন সিলেট-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।

এদিকে গত বছর করোনায় আক্রান্ত হন ৮৮ বছর বয়সী মুহিত। ওই বছরের ২৯ জুলাই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। তখন থেকে শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ। চলতি বছরের মার্চে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মুহিত।

১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের নেতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের দ্বিতীয় ছেলে মুহিত। তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডে উচ্চশিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়ার পর তখনকার পাকিস্তান এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি পান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তার কাঁধেই রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট ১১ বার ও টানা নয়বার বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা করার রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতের।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। কন্যা সামিয়া মুহিত একজন ব্যাংকার এবং মুদ্রা নীতি খাতের একজন বিশেষজ্ঞ। তাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহেদ মুহিত একজন বাস্তুকলাবিদ এবং কনিষ্ঠ পুত্র সামির মুহিত একজন শিক্ষক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain