নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন, আসামী আদালতে হাজির করতে দেরী করা ও কোর্ট রেফারেন্সের কারণে একদিন পেছালো সাক্ষ্যগ্রহণ।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, বিচারক আব্দুর রহিম মমলার বাদী নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীকে এজলাসে উঠানোর পর আসামীপক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। পরে রিট পিটিশন দাখিলের কপি আদালতে জমা দিলে ও আসামী আদালতে হাজির করতে দেরী করায় এবং একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় কোর্ট রেফারেন্সের কারণে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামীকাল নির্ধারন করেন।
এ মামলায় দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন হবে এবং আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন তিনি।
২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।
গত ১৮ এপ্রিল শুনানি শেষে প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশের ৫ সদস্য জেল হাজতে ও কথিত এক সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। এর পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।