অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সরকার গরিবের সরকার। এ সরকারের আমলেই দেশে গরিবের সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে চা শ্রমিকরা তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় দেশের জন্য অনেক চা শ্রমিক জীবনও দিয়েছে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে সিলেট ভ্যালী কার্যকরি পরিষদ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং বি ৭৭ এর আয়োজনে চা শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট ভ্যালী কার্যকরি পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালার সভাপতিত্বে ও সম্পাদক দেবু বাউরি এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক তপন বিকাশ তঞ্চঙ্গা, লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক কে. এম. এমদাদুল হক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খান চা বাগানের অর্থ সম্পাদক নিখিল কুমার দাস, কালাগুল চা বাগানের সভাপতি রঞ্জু নায়েক, হাফিফা নগর চা বাগানের সম্পাদক লক্ষ্মীরাম পাত্র, নালাখাল চা বাগানের সভাপতি নগেন্দ্র গোয়ালা, গঙ্গারজুম চা বাগানের সভাপতি নিরঞ্জন মৃধা, দলদলি চা বাগানের সভাপতি মিন্টু দাস, লাক্কাতুরা চা বাগানের সভাপতি নিরেন গোয়ালা, মালনীছড়া চা বাগানের সভাপতি জিতেন সবর, মালনী ছড়া চা বাগানের সদস্য মিনতি যাদব, ছাত্র ও যুবকের পক্ষে হাবিব নগর চা বাগানের হানিফ হোসেন, বরজান চা কারখানার স্কুল শিক্ষক বিকাশ রঞ্জন দাস, লাক্কাতুরা চা বাগানের যুবক কমিটির সভাপতি রাম বাহাদুর, সিলেট চা জনগোষ্ঠীর সহ সম্পাদক সোয়াগা ছাত্র।
এসময় চা শ্রমিকরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার দিতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী চা শ্রমিকদের গ্রেজুয়েটি প্রদান করতে হবে। চা শ্রমিক সন্তানদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকুরী কোটা বরাদ্দ করতে হবে। প্রতিটি চা বাগান ডাক্তার সহ এম্বুলেন্স বরাদ্দ করতে হবে। প্রতিটি চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় নির্মাণ করতে হবে ও ২০ মে চা শ্রমিক হত্যা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি